প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে কিশোরীকে ‘অপহরণ’, পাশে দাঁড়িয়ে গ্রেপ্তার প্রতিবেশী


চাকদহ: কিশোরীকে প্রেমের জালে জড়িয়ে ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে কিশোরীর বাড়ির লোকজন বহিরাগত যুবকদের নিয়ে এসে গ্রামে অশান্তির চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়ায়। বহিরাগতদের দৌরাত্ম্যে টুঁ শব্দ করেননি গ্রামবাসী। তবে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে রুখে দাঁড়ালে এলাকা ছেড়ে পিঠটান দেয় বহিরাগতরা। মারমুখী বাসিন্দাদের সামনে পড়ে যায় তাদেরই একজন। ওই যুবককে ধরে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাকদহ থানার পুলিশ। বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের কবল থেকে আক্রান্তকে উদ্ধার করে। তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় নিকটবর্তী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরী অপহরণের ঘটনায় সাহায্য করার অভিযোগে গ্রামের এক যুবককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ধৃতের নাম প্রশান্ত মল্লিক। ঘটনাস্থল নদিয়ার চাকদহ থানার নিখরগাছি গ্রাম।

জানা গিয়েছে, নিখরগাছি গ্রামের বাসিন্দা টোটন সাঁতরা(২৮)। পেশায় মুম্বইয়ের এক হোটেল কর্মী। কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন টোটন। বাড়িতে থাকাকালীন প্রতিবেশী কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। ওই কিশোরী স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছেন টোটন। তারপর কিছুদিন আগে তাকে ফুঁসলিয়ে উধাও হয়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাকদহ থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। এরপরেও বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। তবে বাড়ি ফেরেনি যুগলের কেউই। তারা যাতে নির্ভয়ে বাড়ি ফিরে আসে, সেজন্য গ্রামে সালিশির আয়োজন হয় রবিবার বিকেলে। টোটন সাঁতরা ও ছাত্রীর পরিবারের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যেই অমীমাংসিতভাবে শেষ হয় সভা। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। আর্থিক সচ্ছল অপহৃত ছাত্রীর দাদু বহিরাগতদের গ্রামে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। এই বহিরাগতরা গ্রামে ঢুকেই শুরু করে উৎপাত। অশান্তির পাশাপাশি বোমাবাজিরও চেষ্টা চালায়। প্রথমে এই অযাচিত আক্রমণে বেশ খানিকটা দিশেহারা হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। তবে তারপরেই ঘুরে দাঁড়ান। হামলাকারী যুবকদের দিকে তেড়ে যেতেই তারা এলাকা ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করে। সেই সময়ই একজন গ্রামবাসীদের হাতে পড়ে যায়। তাকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশরে হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত টোটন সাঁতরা এবং ওই ছাত্রীর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।