সিঙ্গল? অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য ডেটিং পরিষেবা চালু করছে ফেসবুক


কুড়ি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী নিজেদের 'সিঙ্গল' তকমা দিয়ে রেখেছেন। এই সুযোগ হারাতে চান না মার্ক জ়াকারবার্গ। মঙ্গলবার সান হোসেতে সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে তাই তাঁর ঘোষণা, আগ্রহী অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য এ বার ডেটিং পরিষেবা চালু করছে ফেসবুক।

২০০৪ সালে সেই জন্মলগ্ন থেকেই ফেসবুক জানতে চায়, ব্যবহারকারী 'একা'/ 'সম্পর্কে আবদ্ধ'/ 'বিবাহিত'/ বা 'বিবাহবিচ্ছিন্ন' কি না। 'সম্পর্কটা বেশ জটিল' , 'এক সঙ্গে থাকি, কিন্তু বিয়ে করিনি'— এ ধরনের বেশ কিছু অন্য রকম 'স্টেটাস' দেওয়ার সুযোগও রয়েছে। আপনি যাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ, তাঁকেও ট্যাগ করে দিতে পারেন। আবার কেউ যদি তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঝাঁপি খুলে না-দেখাতে চান, সেই উপায়ও রয়েছে। 

বার্ষিক সম্মেলনে সংস্থার চিফ প্রডাক্ট অফিসার ক্রিস কক্স বলেন, ''আমি ২০০৫-এ ফেসবুকে যোগ দিয়েছিলাম। তখন থেকেই 'ডেটিং'-এর জন্য আলাদা পরিষেবা চালু করার বিষয়ে সুপারিশ করতাম। কিন্তু সেই পরিকল্পনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না কেউ।'' কক্স জানান, ২০১৬ সালে জ়াকারবার্গ নিজের ফেসবুক দেওয়ালে এক যুগলের ছবি পোস্ট করে মন্তব্য করেছিলেন— 'ফেসবুকেই এঁদের দেখা হয়েছিল'। সত্যিই তো, ফেসবুকে তো কত মানুষেরই আলাপ হচ্ছে। তারপর সেই ভার্চুয়াল সম্পর্ক গড়াচ্ছে প্রেমে, কখনও বা বিয়ের পিঁড়িতেও। তা হলে ডেটিং পরিষেবা দেবে না কেন ফেসবুক? 

অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আগ্রহী অ্যাকাউন্টধারীরা ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে এই পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন জ়াকারবার্গ। সংস্থার গবেষকেরা দেখেছেন যে ২০১৭ সালের শেষ দিকে ফেসবুকে ব্যয় করা সময় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। জ়াকারবার্গের আশা, এই পরিষেবা চালু হলে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আরও অনেক বেশি সময় ফেসবুকে কাটাবে।  

বেশ কিছু দিন ধরে তথ্যফাঁসের ধাক্কায় কাবু ছিল ফেসবুক। জ়াকারবার্গের ঘোষণার পরে অবশ্য এক লাফে আজ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তাদের শেয়ারদর। ফেসবুক কর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, অ্যাকাউন্টধারীদের ভয়ের কিছু নেই। ডেটিং-এর মতো পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আরও সতর্ক থাকবে ফেসবুক।  

ফেসবুকের এই ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে 'টিন্ডার', 'ম্যাচগ্রুপ' 'ওকেকিউপিড'-এর মতো বিভিন্ন ডেটিং সংস্থা। বাজারবিশেষজ্ঞরা জল্পনা শুরু করে দিয়েছেন, অন্যান্য ছোট ডেটিং সাইটগুলোকে এ বার কিনে নেবেন না তো  জাকারবার্গ!