মাছের পেটি সরাতেই বেরিয়ে এল ৩ হাজার কচ্ছপ


কলকাতা : কচ্ছপ পাচার রুখে বনদপ্তরের বড়সড় সাফল্য। উদ্ধার প্রায় তিন হাজার কচ্ছপ। যার ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার পাচারকারীকে। তাদের নাম দেবাশিস দাস, দীপঙ্কর মণ্ডল, উত্তম সিংহ ও নিতাই দাস। এদের মধ্যে দেবাশিস ও দীপঙ্করকে ওড়িশা থেকে কচ্ছপ ভর্তি লরি নিয়ে ধুলাগড়ে আসার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তম সিংহ ও নিতাই দাসকে কচ্ছপ ভর্তি বস্তা নিয়ে সোদপুরে বাস থেকে নামার পর গ্রেপ্তার করা হয়।

ওড়িশা থেকে যে কচ্ছপ কলকাতায় ঢুকছে, বনদপ্তরের কাছে সে খবর ছিল। তাদের কাছে খবর ছিল ওড়িশা থেকে ৪০৭ গাড়িতে কয়েক হাজার কচ্ছপ ঢুকছে শহরে। সেই মতো ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বিওরো, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট ও CID-র আধিকারিকরা ধুলাগড় চেকপোস্টে অভিযান চালায়। আগেই পাচারকারীদের গাড়ির নম্বর পেয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর কাল রাতে গাড়িটি ধুলাগড় চেকপোস্টে ঢোকা মাত্রই সেটিকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ। সেগুলিকে উদ্ধার করে সল্টলেকে বনদপ্তরের অফিসে নিয়ে আসা হয়। ওই গাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাশিস দাস ও দীপঙ্কর মণ্ডলকে। 

পুলিশের চোখে ধুলো দিতে গাড়িটির পিছন ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ছিল। মাছের পেটি সরাতে তার নিচ থেকে উদ্ধার হয় ৯০টি পেটি। তার ভিতরে বস্তা থেকে উদ্ধার হয় কচ্ছপ। ওই কচ্ছপগুলো কলকাতা ও শহরতলি ছাড়াও বনগাঁ, বারাসত সহ সীমান্ত এলাকাগুলি থেকে বাংলাদেশেও পাচারের ছক ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে চেয়ে হাওড়া আদালতে তুলবে।