গাড়ি থামিয়ে পুলিশের নিগ্রহ, অভিযোগ চালকদের


গাড়ি পরীক্ষার নামে চালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ টাউন থানা এলাকার ডিরোজিও কলেজের কাছে। তার পরেই নিগ্রহের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ চালকেরা নিউ টাউন থানায় জড়ো হন। তবে তাঁরা কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।

ওই চালকদের অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র এবং অনুমোদন নিয়েই তাঁরা গাড়ি চালাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও গাড়ি পরীক্ষার নামে তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় যে সমস্ত সংস্থার গাড়ি আটক করা হয়েছিল, তাদের প্রতিনিধিরাও নিউ টাউনের ট্র্যাফিক দফতরে যান। এর পরে আটক করা গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা। কারণ, শুধু এ দিনের ঘটনা নয়। পুলিশকর্মী, বিশেষত সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোটরবাইক থেকে গাড়িচালক— পরীক্ষার নামে সকলকেই হেনস্থা করা হচ্ছে। চলছে 'দাদাগিরি'।

এ দিন দুপুরে সল্টলেক থেকে সিমেন্টের মশলা মেশানোর গাড়ি নিয়ে নিউ টাউনের দিকে যাচ্ছিলেন গাড়িচালক মহম্মদ মোজাম্মিল। তাঁর অভিযোগ, ডিরোজিও কলেজের পিছনের রাস্তায় পুলিশ দেখে তিনি সার্ভিস রোড ধরে এগোতে থাকেন। কিন্তু সেখানে দু'দিক থেকে এসে পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। তাঁর দাবি, পুলিশকে তিনি জানান, বৈধ অনুমোদন নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছেন। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ তাঁকে মারধর করে। সেখানে হাজির থাকা বিধাননগরের ট্র্যাফিক দফতরের উচ্চপদস্থ এক কর্তাও তাঁর গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ মোজাম্মিলের। এমনকি ওই কর্তার গাড়িচালকও মোজাম্মিলকে মারেন বলে দাবি। অভিযোগকারীরা জানান, মোট সাতটি সংস্থার গাড়ি আটক করা হয়েছিল। একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। তিন জন চালক মারধরে আহত হয়েছেন।

একটি গাড়ি সংস্থার প্রতিনিধি সুশান্ত দাশগুপ্তের অভিযোগ, এ দিন পৌনে ১২টা থেকে প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা গাড়ি আটকে রাখায় তাঁদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাঁর দাবি, এক পুলিশকর্তা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। চালকদের বক্তব্য, নিয়ম ভাঙলে পুলিশ মামলা করুক। কিন্তু মারধর কেন করা হবে? বিধাননগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, নিয়ম ভাঙলে আইনানুগ পদক্ষেপ করবে পুলিশ। কিন্তু দুর্ব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না।