স্ত্রী মগ্ন অন্য পুরুষে, কেবল সন্দেহ থেকেই খুন করে আত্মঘাতী স্বামী?


স্ত্রী অনবরত ফোনে কথা বলতেন। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে ডেকেও মিলত না সাড়া। দিনের বেশিরভাগ সময়ই মগ্ন থাকতেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে। তাতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল স্কুলশিক্ষক স্বামীর মনে। হাতে জোরালো কোনও প্রমাণ ছিল না। মিলছিল না সেরকম কোনও সূত্রও। স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে এমনটা ভেবে নিজেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী। অতঃপর নিয়ে ফেললেন সেই চরম পদক্ষেপ। স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। পূর্ব মেদিনীপুরের নারায়ণদাঁড়ি গ্রামে স্কুল শিক্ষক স্বামী ও স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে এমনটাই মনে করছে পুলিস।

মলয় মাইতি নামে ওই ব্যক্তি গ্রামেরই একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ। স্বামী স্কুলে চলে যাওয়ার পর সারাদিন বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। সূত্রের খবর, মাইতি বাড়ি থেকে ঝগড়াঝাঁটির আওয়াজ নিত্যদিনই কানে যেত প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, রবিবার রাতেও চিত্কার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রোজকার ঘটনা ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। রাতে সব চুপচাপ হয়ে যায়। সোমবার সকালে মলয়কে স্কুলে যেতে না দেখতে পেয়েই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। রান্নাঘরের জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই হাড়হিম হয়ে যায় তাঁদের।

প্রতিবেশীদের দাবি, রান্নাঘরের কড়িকাঠে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মলয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে স্থানীয়রা দেখেন, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তাঁরও গলায় তার দিয়ে ফাঁস লাগানো।স্থানীয়রাই থানায় খবর দেন। পুলিস গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রায় সময়ই স্ত্রীকে 'মেরে ফেলব' বলে হুমকি দিতেন মলয়। স্ত্রীকে সন্দেহ করতে মলয়। তা থেকেই মানসিক অবসাদে স্ত্রীকে খুন করে মলয় আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ।