শবাধার ফাঁকা নয়, জানা গেল ১৫১ বছর পরে! কী রয়েছে তার ভিতরে

মিশরীয় শবাধার।


শবাধারের উপরে লেখা রয়েছে একটি নাম— মার-নিথ-ইট-এস। জানা যায়, এটি মিশরের সেখমেটের কোনও মন্দিরের মহিলা পুরোহিতের নাম।

বাড়িতে রাখা ঠাকুর্দার আমলের সিন্দুক। আপনি জানেন, সেটি ফাঁকা। কারণ চাবি হারিয়ে যাওয়ায় সেটি খোলাই যায় না। কিন্তু হঠাৎই কোনও কারণে জানা গেল সেটি মোটেই ফাঁকা নয়। কী করবেন আপনি? গুপ্তধনের আশায় লাফাবেন? নাকি কোনও অশুভ কিছু তার ভিতরে ওৎ পেতে রয়েছে বলে কুঁকড়ে যাবেন? 
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির নিকলসন মিউজিয়াম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম 'কিউরিওসিটি.কম'-এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, মিউজিয়ামের ১৫১ বছর ধরে রক্ষিত এক মিশরীয় মমির শবাধার বা সারকোফ্যাগাসকে ঘিরে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য।

১৮৬০ সালে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর চার্লস নিকলসন এই সারকোফ্যাগাসকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আসেন। ১৯৪৮ পর্যন্ত এটির যথোপযুক্ত ক্যাটালগিং হয়নি। পাঁচমিশেলি জিনিসপত্রের সঙ্গেই রাখা ছিল সারকোফ্যাগাসটি। ২০১৭-এ শবাধারটিকে নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। পর্যবেক্ষক জেমি ফ্রেজার দায়িত্ব পান এটি পরীক্ষা করে দেখার।

শবাধারের উপরে লেখা রয়েছে একটি নাম— মার-নিথ-ইট-এস। জানা যায়, এটি মিশরের সেখমেটের কোনও মন্দিরের মহিলা পুরোহিতের নাম। ফ্রেজার জানাচ্ছেন, রেডিওঅ্যাকশন ডেটিং থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, এই সারকোফ্যাগাস ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। এর পরে শবাধারটিকে সিটিস্ক্যান করা হয়। দেখা যায়, এর ভিতরে এক মমির অবশেষ বিদ্যমান। যদিও সেই মমির অবস্থা আজ প্রায় ধুলো-বালির সামিল।

নতুন মমি, তা-ও আবার কোনও মহিলা পুরোহিতের— সব মিলিয়ে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। কোথাও এসে মিশছে ১৯৯৯ সালের হলিউড ব্লকবাস্টার 'দ্য মমি'-র আনখ-সু-নামুনের মিথ।