এটিএমে টাকাা লুঠ, চরম সিদ্ধান্ত নিল কিশোরী।


এটিএম থেকে ব্যালান্স স্টেটমেন্ট নিতে গিয়ে প্রতারণা চক্রে পা দিল কিশোরী। আর তার পরের ঘটনা মারাত্মক।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটিএম-এ প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ২৯ হাজার টাকা খুইয়ে ফেলে দিল্লির দ্বারকা সেক্টর ১৪-র বাসিন্দা এক কিশোরী। পরে সেই রাগেই আত্মহত্যা করে নিশা দাস নামে ওই কিশোরী।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নিশা তার বাবা রণজিৎ দাসের ওষুধপত্র কেনার জন্য এটিএম থেকে ৬ হাজার টাকা তুলতে যায়। সেখানে টাকা তুলে বেরনোর সময় আচমকাই দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঘিরে ধরে তাকে। এটিএম থেকে টাকা তুললে ব্যালান্স স্টেটমেন্ট নিতে হয়, এমনটাই তারা বলে নিশাকে। কিন্তু নিশা তাদের জানায় এটিএম থেকে টাকা তুললে মোবাইলে মেসেজই চলে আসে। ওই মেসেজ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জানায় ওই দুই ব্যক্তি। এর পরেই নিশা ব্যালান্স স্টেটমেন্ট বের করার জন্য ফের এটিএম কার্ড পাঞ্চ করে।

কিন্তু বাড়ি ফিরেই নিশা জানতে পারে যে, তার বাবার অ্যাকাউন্ট থেকে দুই দফায় ১০ হাজার ও ১৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফের ওই এটিএম যায় নিশা। কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে পায়নি সে।

নিশার পরিবারের দাবি, এর পর থেকেই অনুশোচনা হচ্ছিল নিশার। তার পরেই নিজের ঘরে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। অনেকক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় নিশার দিদিদের। প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা খুললে নিশার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তারা।

ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ধারণা, টাকা লুঠ হয়ে যাওয়ার অনুশোচনার জন্যই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই কিশোরী দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিল। ওই এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার সময় ওই এটিএমটিতে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।