যৌনতায় চাই নতুনত্ব, বাঙালি মহিলাদের মোবাইলে ভরতি পর্নোগ্রাফি


পর্নোগ্রাফির দর্শক মানে শুধুই পুরুষ নয়, লক্ষ লক্ষ মেয়েরাও এখন নীলছবির ভক্ত।

সমীক্ষা বলছে, হাজার হাজার বাঙালি মহিলার মোবাইল, ল্যাপটপে ভরতি নীল ছবির ভিডিও ক্লিপ। কেউ যৌনতার নয়া কলাকৌশল শিখতে পর্নোগ্রাফিতে মজেছেন। কেউ বাস্তবজীবনে সঙ্গীর অভাব মেটাতে পর্ন দেখেই অর্গ্যাজম করছেন। বহু মহিলাই বিছানায় 'প্যাসিভ' ভূমিকা ছেড়ে বেরতে পর্নোগ্রাফির সাহায্য নিচ্ছেন। চরম সুখের মুহূর্তে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পর্নস্টারদের নানা কর্মকাণ্ড দেখছেন তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ক্রমেই বাড়ছে ইন্টারনেটে পর্নসাইটের মহিলা ক্রেতার সংখ্যা। গবেষক ডায়না প্যারি জানিয়েছেন, মহিলাদের মধ্যে যৌনতা সংক্রান্ত এই সচেতনতা এবং স্বতন্ত্র চাহিদা এর আগে দেখা যায়নি।

বাঙালি মহিলাদের কাছে কেমন করে যৌন মিলনের মুহূর্তকে আরও উপভোগ্য করে তোলা যায় তার প্রশিক্ষণের কোনও সুযোগ নেই। এমনকী সে কথা কল্পনা করাও নৈব নৈব চ। তাই ইন্টারনেটে নীল ছবিই ভরসা। কারও সাহায্য ছাড়াই ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে সহজেই ডাউনলোড হয়ে যায় দেশ বিদেশের পর্নোগ্রাফি ভিডিও। আর সেই 'নিষিদ্ধ নীল' পর্দায় চোখ রেখেই নিজেদের যৌন চাহিদা বাড়িয়ে তুলছেন মহিলারা। শুধু চাহিদা বাড়িয়েই তৃপ্ত নন। সেই সঙ্গে শিখে নিচ্ছেন শয্যাসঙ্গীকে আকর্ষণ করার কৌশলও। কখনও কখনও নাতিদীর্ঘ এই মিলন মুহূর্তকে আরও উষ্ণ করে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের শিক্ষাও মিলছে এই সব পর্নোগ্রাফি থেকে। তবে অনেকক্ষেত্রেই এই ধরনের পর্নোগ্রাফিতে পর্নস্টারদের বিকৃতকাম মিলন বাস্তবের বিছানায় করা সম্ভব হয় না। তন্বী দেহের পর্নস্টারদের মতো সাধারণ দম্পতিরা ফিটও নন। তথ্য বলছে, একটি নীলছবির শুটিং হয় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে। আর ছবির মেয়াদ হয় ১৫ থেকে ২০ মিনিট। স্বভাবতই সেখানে যে সমস্ত শৈলী প্রয়োগ করা হয়, তা বাস্তবে সুস্থ-স্বাভাবিক নরনারীর জীবনে প্রয়োগ করা খুবই কঠিন।

নতুন ট্রেন্ড হলেও এই প্রবণতার পক্ষে মত পেশ করেছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, আড়ষ্টতা কাটিয়ে মহিলাদের এই এগিয়ে আসা খুবই জরুরি ছিল। আর পাঁচটা 'নেচার কল'-এর মতো সেক্সও যে স্বাভাবিক চাহিদা তা এতদিন মানুষ মানতে চায়নি। রাখঢাক ছেড়ে মহিলাদের এই স্বাবলম্বী হওয়ায় খুশি গবেষক ডায়না প্যারি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে অন্য কারও থেকে পরামর্শ চাওয়ার বদলে ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া মহিলাদের পক্ষে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যের। গবেষকদের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের যৌন চাহিদা কম নয়। বরং কখনও কখনও বেশি। কিন্তু সামাজিক রক্ষণশীলতায় মহিলারা এতদিন সেই অনুভূতিকে অবদমিত করে রাখতেন। শরীর বিদ্রোহ করলেও অপরাধ মনে করে তা দমন করতেন মহিলারা। ক্রমেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। স্বাবলম্বী হয়েছে মহিলাদের যৌনজীবন।


অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। এই সমস্যার সমাধানেও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে এই সব পর্নোগ্রাফি। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই অনেক সময় এই সব ভিডিও দেখে একাকী রাতের যৌন চাহিদা পূরণে সক্ষম হন মহিলারা। ফলে সামাজিকভাবে যতই নিষিদ্ধ তকমা দেওয়া হোক যৌন চাহিদা পূরণে এই সব নীলছবির মাহাত্ম্য অপার বলেই মনে করছেন গবেষকরা।