কুমারস্বামীর শপথগ্রহণে সম্মানহানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! ভাইরাল হল ভিডিও


কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এখনও এই নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সংবাদসংস্থা এএনআই-এর একটি ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে উঠেছে নেট দুনিয়ায়। টুইটার অ্যাকাউন্টে এএনআই দাবি করেছে কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যারপনাই ক্ষুব্ধ হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কর্ণাটকের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ নীলামণি রাজুর সঙ্গে যথেষ্ট উত্তেজিত অবস্থায় তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। 

ডিজিপি নীলামণি রাজির সঙ্গে কথা বলছেন উত্তেজিত মমতা পরে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেঙ্গালুরুর চালুক্য সার্কেল থেকে বিধান সৌধ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে আসতে বাধ্য করে পুলিশ। নিরাপত্তার কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছিল। প্রায় আধ ঘণ্টার মতো পায়ে হেঁটে তিনি শপথ গ্রহণ স্থলে পৌঁছন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটে এলেও বেশকিছু ভিভিআইপি-দের একদম গাড়ি করে শপথগ্রহণস্থলের কাছে নামানো হয়। এইসব ভিভিআইপি-দের তালিকায় ছিলেন অন্যরাজ্যের কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী এবং সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও।
 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে নিয়ম হলে সবার ক্ষেত্রে এক হওয়া উচিত। আর বিশেষ করে তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন তাঁকে যোগ্য সম্মানটা দেওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি ভিডিও-তে ডিজিপি নীলামণি রাজুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতেও দেখা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাঁটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বরং তিনি হেঁটে হেঁটেই কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ অতিক্রান্ত করেন। বিশেষ করে জেলা সফরে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর এই কাজগুলো নজরে আসে সকলের। ফলে, আধ ঘণ্টা হেঁটে আসাটা যে বড় কোনও বিষয় নয় তা তিনি ডিজিপি নীলামণিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি যুক্তি একজন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে না কেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রেগে গিয়েছেন তা বুঝতে পেরে এগিয়ে আসেন এইচডি দেবগৌড়া। এরপর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসার ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু এখানেও বিপত্তি কারণ মমতার একপাশে বসেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এতে আরও রেগে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, এরজন্য পিনারাই বিজয়ন বা অন্য কারোর সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি মমতা।