প্রযুক্তি শিক্ষকেরা শিখুন শিল্পসংস্থায় গিয়ে, প্রস্তাব


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বশাসন নিয়ে সরব হলেন অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের (এআইসিটিই) চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুধে। শনিবার, বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক আলোচনাসভায় তিনি সওয়াল করলেন, প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মান বাড়ানোর নিয়ে। বাজার বুঝে যাতে তাঁরা পড়াতে পারেন, তার জন্য শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি। এতে শিক্ষকেরাও বাজার বিষয়ে সচেতন হবেন।

সহস্রবুধে জানান, চাকরি পাকা হওয়ার আগে শিক্ষকদের একটি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। সেখানে প্রশ্নপত্র তৈরি, ক্লাসে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম তৈরির মতো আরও বেশ কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাতে উত্তীর্ণ হলে তবেই শিক্ষকদের চাকরি পাকা হবে। পাশাপাশি, পদোন্নতির আগে দু'সপ্তাহ শিল্পসংস্থায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে শিক্ষকদের।

দেশের প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মান ও উৎকর্ষতার প্রসঙ্গে সহস্রবুধে বলেন, ন্যাকের গ্রেড অনুযায়ী বহু প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যেই স্বশাসনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান পূর্ণ স্বশাসন পেয়েছে। গ্রেডে সামান্য পিছিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আংশিক স্বশাসনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও বহু প্রতিষ্ঠানই স্বশাসন পায়নি। তার মূল কারণ, উৎকর্ষতার মানদণ্ডে তারা এখনও পিছিয়ে।

মাসখানেক আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ স্বশাসন দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্য সরকার বিষয়টিকে সদর্থক চোখে দেখলেও শিক্ষা মহলে এর সমালোচনা চলছে। অভিযোগ, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত সমস্যায় পড়বেন ছাত্রছাত্রীরা। পড়াশোনার খরচ বাড়বে লাফিয়ে লাফিয়ে। তবে কোন্দ্রীয় সরকার যে সেই সমালোচনাকে আমল দিচ্ছে না তা সহস্রবুধের কথাতেই স্পষ্ট। বরং তাঁর প্রস্তাব, ভবিষ্যতে ন্যাকের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নেওয়া হবে, যাতে স্বজনপোষণের অভিযোগ না ওঠে।

শিক্ষকদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে তাঁর মত, এর ফলে শিক্ষকেরাও বাজার বিষয়ে সচেতন হবেন।

এ দিনের আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের শিক্ষা বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সুবর্ণ বসু, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ব্রুস বাকনেলের মতো বিশিষ্ট জনেরা। আলোচনায় অংশ নেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।