অকল্পনীয়! নিজের মাকেই ধর্ষণ পর্নে আসক্ত যুবকের


মাতৃসম্ভোগে রত হয়েছিল অয়দিপাউস। তবে অজান্তে, নিয়তির ফেরে। সে কাজের শাস্তি হিসেবে কাঁটার আঘাতে নিজেকে অন্ধ করেছিলেন তিনি। তবে গ্রিক ট্র্যাজেডির থেকেও ট্র্যাডেজি বোধহয় নেমে এল গুজরাটে, যখন পর্নে আসক্ত যুবক ছেলে ধর্ষণ করল নিজের মাকেই।

আর কত নিচে নামবে মানুষ! 

এ খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্র গোটা দেশবাসীর বিস্মিত প্রতিক্রিয়া এটাই। সাম্প্রতিক অতীতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে মারাত্মক হারে। আট বছরের নাবালিকা থেকে চার মাসের শিশুকন্যা কাউকেই রেয়াত করা হচ্ছে না। কোথাও অপহরণ করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন লালসা চরিতার্থ করে চলেছে বিকৃতকামীরা। কোথাও আবার শিশুকন্যার যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে বড় করেই চলছে ধর্ষণ। তা নিয়ে চলছে দেদার রাজনীতিও। চাপান উতোরে সরগরম দেশ। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে থাকা কেউ কেউ বলেও ফেলছেন, দেশে অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। একটা-দুটো নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কী আছে! অর্থাৎ ধর্ষসংস্কৃতি যে গা-সওয়া হয়ে উঠেছে তাই-ই যেন নেতাসাহেব ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এই যখন পরিস্থিতি তখন নাবালিকা ধর্ষণ রুখতে কঠোর হচ্ছে দেশ। তবে একদিকে যখন নাবালিকা ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বলবৎ হচ্ছে তখনই প্রকাশ্যে আসছে নিজের মাকে ধর্ষণের খবর। ট্র্যাজেডি বোধহয় এটাই।

ঘটনা গুজরাটের। জানা যাচ্ছে, গত শনিবার ২২ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। সে অভিযোগ এনেছেন তাঁর নিজের জন্মদাত্রী মা। যুবক ছেলের হাতেই লাঞ্ছিতা, নির্যাতিতা হয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই যুবক পর্নে আসক্ত। বাড়িতে বয়স্কা বোন আছে। তাঁর এবং মায়ের সামনেও অশ্লীল ভিডিও দেখতে দ্বিধা করত না সে। গত বৃহস্পতিবার এ কাণ্ড ঘটায় ওই যুবক। তখন মধ্যরাত পেরিয়েছে। নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই মহিলা। সে সময় জল পানের অছিলায় তাঁর ঘরে ঢোকে যুবকটি। তারপর জোর করে মাকে ধর্ষণ করে সে। মহিলার কণ্ঠরোধ করারও চেষ্টা করে। যদিও তা সত্ত্বেও মহিলা চিৎকার করে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন মহিলা। কিন্তু পড়শিরা আওয়াজ শুনেও তেমন আমল দেননি। কারণ ছেলের সঙ্গে ওই মহিলার প্রায়ই ঝামেলা বাধত। পাড়ার লোকেরা সেরকমই কিছু ভেবেছিলেন। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি এই কুকর্ম ঘটছে।

ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন ওই মহিলা। নিজের ছেলের হাতেই যে তাঁকে ধর্ষিতা হতে হবে, তা বোধহয় তিনি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি। পরে সাহস করে স্বামীর কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। তাঁদের আর এক ছেলে আমেদাবাদে থাকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই ওই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, এর আগেও আকারে ইঙ্গিতে ছেলে তাঁকে যৌন ইশারা করেছে। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছেলেকে।

দিকে দিকে একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষসংস্কৃতি যে কোন স্তরে পৌঁছেছে, এ ঘটনা যেন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।