৪ বছরে কতজন চাকরি পেয়েছেন?


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

এ বার ভোটারদের কৈফিয়ত দিতে হবে বুঝে হিসাব কষতে শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভোটে জিততে ২০১৪-য় বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তার পর ৪ বছরে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা তৈরি করা গিয়েছে, অঙ্কের হিসাবে তা কতটা, তা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রের এনডিএ সরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা তৈরি করতে পেরেছে, নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের কোন কোন প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সবক'টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে তার খুঁটিনাটি জানিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেই সব প্রকল্প ও কর্মসূচি কী ভূমিকা নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তারও রিপোর্ট চেয়েছেন।

সন্দেহ নেই, মোদীর দেওয়া বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিই ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি-কে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়ে ক্,মতাসীন হতে সাহায্য করেছিল।

মোদী সরকারের ৪ বছর পূর্ণ হবে আগামী ২৬ মে। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা, এ বার ভোটাররা সেই প্রতিশ্রুতির কতটা কী রাখা হয়েছে, তা মিলিয়ে দেখতে শুরু করবেন। আর সেটা শুরু হবে আগামী ১২ মে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন থেকেই। যার প্রভাব পড়তে পারে কর্নাটকে বিজেপির আগে জেতা কয়েকটি আসনের নির্বাচনী ফলাফলে।

মোদীর ওপর বিনিয়োগকারীদের ভরসা যে আগের চেয়ে কমেনি একটুও, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তবে কর্নাটকে ভোটের ফলাফলে যদি কয়েকটি 'পকেট'-এ ধাক্কা খায় বিজেপি, তা হলে সেই ভরসা কিছুটা হলেও টাল খাবে। আর তার প্রভাব পড়তে পারে এক বছর পর দেশের সাধারণ নির্বাচনে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'ভারতে এসে বানাও' (মেক ইন ইন্ডিয়া) স্লোগান যে কার্যকরী হয়েছিল, তার প্রমাণ মিলেছে রেকর্ড পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই)।

কিন্তু সেই বাড়তি এফডিআই আসার ফলে দেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান কতটা কী হল, তার কোনও সরকারি পরিসংখ্যান নেই এখনও পর্যন্ত।

'১৬-র নভেম্বরে নোটবন্দির পর বরং চাকরি খোয়ানোর বহু ঘটনা ঘটেছে। যা মোদীর বিরোধীদের আলোচনার মুখরোচক বস্তু হয়ে উঠেছে। নোটবন্দির আগেও অর্থনীতির নিরিখে মোদী সরকারের 'সময় যখন ভাল ছিল', তখনও বেকারত্বের সংখ্যায় তেমন হেরফের ঘটেনি।

তবে মোদীর পক্ষে কিছুটা স্বস্তির খবর হল, মুম্বইয়ের একটি ব্যবসায়িক তথ্য-সংক্রান্ত সংস্থা 'সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি'-র হালের সমীক্ষা জানিয়েছে, দেশে বেকারত্বের হার যা গত দেড় বছরের মধ্যে  সর্বাধিক ৬.২৩ শতাংশে পৌঁছেছিল মার্চে, তা এপ্রিলে কমে হয়েছে ৫.৮৬ শতাংশে।