রোহিঙ্গা জঙ্গিদের ভয়ঙ্কর হত্যালীলায় ৫৩জন হিন্দুকে খুন করা হয়েছিল


লন্ডন: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে এল। ২০১৭ তে এক ভয়াবহ হত্যালীলা চালিয়েছিল রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট দিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থা Amnesty International. গত বছরের ২৫ অগাস্ট সেই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের সেই হত্যালীলায় মৃত্যু হয়েছিল ৫৩ জন হিন্দুর। আর ওই একই দিনে রোহিঙ্গারা হানা দিয়েছিল পুলিশ পোস্টে। আর তার জেরেই মায়ানমার সেনা জবাব দেয় রোহিঙ্গাদের। তাদের কার্যত বহিষ্কার করা হয় মায়ানমার থেকে।

রাষ্ট্রসংঘ বলছে, মায়ানমার সেনা বহু রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে ঠিকই। তবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। রাখাইনে উত্তরে হিন্দুদের হত্যা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই রাখাইনেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংবাদমাধ্যমকে গণকবর দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল মায়ানমারের সেনা। যদিও সেই ঘটনার সময় 'আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি' নামে ওই জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় অস্বীকার করে।

সম্প্রতি নতুন করে রিপোর্ট দিয়েছে Amnesty International. তারা নিশ্চিত করেছে যে মায়ানমারের খা মাউং সেক গ্রামে ৫৩ জন হিন্দুকে খুন করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এবং রাখাইন থেকে তারা আরসা'র হাতে হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যার তথ্য প্রমাণ পেয়েছে ওই সংস্থা।

ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, কালো পোশাকের সশস্ত্র লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ রোহিঙ্গারা মিলে গ্রামটিতে হিন্দু নারী, পুরুষ এবং শিশুদের ঘিরে ফেলে নির্যাতন চালায়। তারা এই গ্রাম থেকে ৫৩ জন হিন্দুকে ধরে অন্য জায়গায় নিয়ে হত্যা করে। রিপোর্টে আরেকটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আরসা সদস্যরা শিশুসহ আটজন হিন্দু নারীকে তুলে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের চাপ দিয়েছিল।

যে গ্রামে আরসা সদস্যরা হিন্দুদের উপর নির্যাতন গণহত্যা চালিয়েছে, সেই গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, "হামলাকারীদের হাতে ছুরি এবং লোহা রড ছিল। তারা আমাদের হাত চোখ বেঁধে রাখতো।" এমনই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে তারা।