বিয়ের ১০ দিনের মধ্যেই ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করলেন স্ত্রী


বিশাখাপত্তনম: নতুন বিয়ে৷ হাতের মেহন্দিও ফিকে হয়নি কনের৷ নতুন সংসার স্বপ্নের মতো সাজিয়ে তোলার আগেই স্ত্রীর ফেসবুক বন্ধুর হাতে খুন হলেন স্বামী৷

এক বছর আগে বিশাখাপত্তনমে কলেজে পড়ার সময় থেকে শিব নামের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় সরস্বতীর৷ বাড়ে ঘনিষ্ঠতা৷
ঘটনার মাত্র ১০ দিন আগেই মায়ের দিকের সম্পর্কের তুতো ভাই যমক শঙ্কর রাও-এর সঙ্গে বিয়ে হয় সরস্বতীর৷ পেশায় ইঞ্জিনিয়র যমক চাকরি করতেন বিশাখাপত্তনমেরই এক সংস্থায়৷ Facebookতবে বিয়ে নিয়ে মোটেও খুশি ছিলেন না তিনি৷ নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন শিবের সঙ্গে৷ পথের কাঁটা দূর করতে শিবের সঙ্গে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন সরস্বতী৷ পরে শিব দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যমককে খুন করেন বলে জানা গিয়েছে৷

সোমবার রাতে শপিং সেরে স্বামীর সঙ্গে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন সরস্বতী৷ টোটাপল্লি এলাকার কাছে শৌচাগারে যাবেন বলে স্বামীকে বাইক থামাতে বলেন তিনি৷ সেদিন সারাদিন ধরেই শিবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন সরস্বতী৷ কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন সব কিছুই শিবকে জানিয়েছিলেন৷ সরস্বতী প্রস্রাব করার ভান করে ঝোপের পিছনে লুকিয়ে পড়তেই অটোতে চড়ে তিন জন আততায়ী আক্রমণ করে যমককে৷ মাথায় আচমকা লোহার রডের আঘাত তখনই মৃত্যু হয় সরস্বতীর স্বামীর৷

ডাকাতির ঘটনা সাজাতে এরপর নিজেই হাতের চুড়ি ভাঙেন সরস্বতী৷ সব গয়না খুলে লুকিয়ে ফেলেন অন্তর্বাসের মধ্যে৷ চিত্কার করে লোক জড়ো করে জানান একদল আততায়ী আচমকাই তাঁর স্বামীকে খুন করে ডাকাতি করে পালায়৷ পুলিশকেও একই কথা জানান সরস্বতী৷ পরে জিজ্ঞাসাবাদে সরস্বতীর পরস্পর বিরোধী বয়ানে সন্দেহ হয় পুলিশের৷ এরপরই জেরায় খুনের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন সরস্বতী৷

শিব ও সরস্বতী দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ শিবের বাকি দুই সঙ্গীর খোঁজ চলছে৷