প্রথম ডেটের পরই টানা ৬৫ হাজার মেসেজ ও খুনের হুমকি!


হাজতে জ্যাকেলিন

অনলাইন ডেটিং সাইটে আলাপ দু'জনের। তারপর যা ঘটল, যে কোনও পুরুষের কাছে ভয়াবহ! প্রশ্ন উঠতেই পারে, মেয়েটি কি সাইকো? ছেলেটির ইনবক্সে টানা ৬৫ হাজার মেসেজ। ছেলেটিকে চরম উত্যক্ত, মানসিক অত্যাচার ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অ্যারিজোনায় আপাতত শ্রীঘরে মেয়েটি। 

৩১ বছর বয়সি জ্যাকেলিন ক্লেয়ার অ্যাডেস মিয়ামির বাসিন্দা। গত বছর একটি অনলাইন ডেটিং সাইটে একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ হয় অ্যাডেসের। প্রথম কয়েকদিন ঠিকই চলছিল। প্রেম জমছিল। একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ, ভালো-মন্দ চিনে নিচ্ছিলেন। একদিন ডেটেও যান তাঁরা। তারপরেই হঠাত্‍‌ ছেলেটির কাছে দুর্বিসহ হয়ে ওঠেন জ্যাকেলিন। সারা দিন হাজার হাজার মেসেজ, ফোনের পর ফোন, কোথায় যাচ্ছে, কী করছে-- সব জানার ইচ্ছে। উত্তর না পেয়ে আরও ভয়াবহ মেসেজ ও খুনের হুমকি। শেষমেশ প্রেমিকার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

জেলে বসে একটি ইন্টারভিউতে জ্যাকেলিনের কথায়, 'আমি ভেবেছিলাম, আমার জীবনসঙ্গী পেয়ে গিয়েছি। আমরা বিয়ে করতাম। কিন্তু যা ঘটল!' পুলিশ জানিয়েছে, দিনে ৫০০টি করে মেসেজ জ্যাকেলিন পাঠাতেন তাঁর সঙ্গীকে। সব মেসেজের উত্তর না পেলে হুমকিও চলত, যেমন, 'তোমার রক্ত চাই। তাতে স্নান করব।' সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার মেসেজ। 

জ্যাকেলিনকে জিগ্গেস করা হয়, আপনার কি মনে হয় না এটা বাড়াবাড়ি? মেয়েটির নির্বিকার উত্তর, 'ভালোবাসা একটি বাড়াবাড়ি ব্যাপার বলেই আমি মনে করি।' ৩০ এপ্রিল ছেলেটিকে জ্যাকেলিন একটি মেসেজ করেছে, তাতে লেখা, 'আমাকে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টাও কোরো না। আমি খুন করে দেব তোমায়। আমি খুনি হতে চাইছি না। ' এরপরের মেসেজটি হল, 'আমার আশা তুমি মরবে। থুতনি থেঁতলে গিয়েছে তোমার, আমি দেখতে পাচ্ছি।' 

জ্যাকেলিনকে জিগ্গেস করা হয়, তুমি কি মনে করছ না, তুমি বিপজ্জনক? তাতে রিপোর্টারকে সরাসরি জ্যাকেলিনের উত্তর, 'না। আমি শুধু ওকে ভালোবসাতে চাই। ও যদি আমায় পছন্দ না করে, তাহলে বাড়ি ফিরে যাবো। আবার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডকেই ভালোবাসবো।'