বাড়িতেই নাকি কবর দিত! মেয়ের পচাগলা দেহ আগলে বাবা


সকাল থেকেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। সন্ধ্যায় পাড়ার মহিলারা জোর করে বাড়িটিতে ঢুকেই অবাক। একটি ঘরে কাপড় জড়ানো অবস্থায় রয়েছে যুবতী মেয়ের মৃতদেহ। আর বিছানার পাশে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বসে ওই যুবতীর বাবা। 

নদিয়ার কোতোয়ালি থানার কৃষ্ণনগর শহরের সীমান্তপল্লির ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে পাঠায়। মৃত যুবতীর নাম কামা হাঁড়ি (২৬)। পুলিশের কাছে মৃতের বাবা অতুল হাঁড়ি দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ের কুষ্ঠ রোগ থাকায় রোগের কারণে মারা গিয়েছে। তাঁদের সমাজের রীতি মেনে তাঁরা মেয়ের দেহ বাড়িতেই পুঁতে দেবেন বলে রেখে দিয়েছিলেন। 

এক প্রতিবেশী বধূ রীতা সাহা জানান, 'শনিবার থেকে ওই বাড়ির ছোট মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। ওরা জানিয়েছিল মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আরেক প্রতিবেশীকে ওই যুবতীর মা সনিয়া হাঁড়ি বলেছি, মেয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি। এরপর সকালে দুর্গন্ধ আসছিল ওই বাড়ি থেকে। জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর পাচ্ছিলাম না। শেষে সন্ধ্যায় ঘর খুঁজে মৃতদেহ দেখতে পাই।' 

বাড়ির অনেকেই মদের নেশা করে বলে ওদের কিছু বলা যায়নি বলে দাবি পাড়ার লোকেদের। বাড়িতে দেখা যায় একটি বড় গর্তও রয়েছে। কোতোয়ালি পুলিশ, পরিবারের কর্তা অতুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বাড়ির অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।