বঙ্গবিভূষণে সম্মানিত আশা ভোঁসলে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে গাইলেন গান


মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। সেইমতো মঞ্চে হাজির ছিলেন বিশিষ্টরা। আর ছিলেন তিনি। যিনি এবারের বঙ্গবিভূষণ ও বঙ্গভূষণের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম। আশা ভোঁসলে। নজরুল মঞ্চে তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গবিভূষণ সম্মানের প্রতীক তুলে দেওয়া হল কিংবদন্তি শিল্পীর হাতে। পাশে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এবারের বঙ্গবিভূষণ সম্মান পেলেন তিনিও।

২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই সম্মান। এর আগে সম্মানিত করা হয়েছে মান্না দে, মহাশ্বেতা দেবী, মিঠুন চক্রবর্তী, আমজাদ আলি খানের মতো ব্যক্তিত্বদের। আশা ভোঁসলে ও প্রসেনজিতের পাশাপাশি এবারে বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন সমরেশ মজুমদার, মহম্মদ হাবিব, সুব্রত ভট্টাচার্য, গিরিজা শংকর রায়, শ্যামল সেন, সুহৃদকুমার ভৌমিকের মতো স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। বঙ্গভূষণ পেয়েছেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোমচৌধুরি,  পার্থ ঘোষের মতো ব্যক্তিত্বরা।

বাংলার মেধা সারা বিশ্বকে পথ দেখায়। যতদিন এই শিক্ষা, সভ্যতা বেঁচে থাকবে, ততদিন বিশ্বকে এভাবেই পথ দেখাবে বাংলা। তাই সোমবার নজরুল মঞ্চে সকলকে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে প্রত্যেক সম্মান প্রাপককে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়। প্রায় প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করে তাঁদের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরলেন। এরই মাঝে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন বিরজু মহারাজের কথা। শুনেই বিলম্ব না করে তাঁকেও বঙ্গবিভূষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ সম্মান দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এতকিছুর মধ্যে একটু ছোট্ট আবদার তিনি আশা ভোঁসলের কাছে করেই বসলেন। কাশিতে কষ্ট পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর এ আবদার রাখলেন আশা। শেষলগ্নে গেয়ে উঠলেন, 'যেতে দাও আমায় ডেকো না…'।