হেরোইনের চড়া দাম, বদলে নেশার জন্য সস্তার ইঞ্জেকশনে মজছে পড়ুয়ারা


হেরোইনের দাম বেশি। পয়সায় কুলোয় না। কিন্তু নেশা একবার মাথায় চাপলে আর ছাড়ায় কে! তাই সস্তার নেশার ইঞ্জেকশনের দিকেই ঝুঁকছে তরুণ প্রজন্ম বিশেষত পড়ুয়ারা। সেই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়েই চলছে দেদার বেআইনি ব্যবসা। বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচুর মাদক ইঞ্জেকশনের ওষুধ উদ্ধার করল নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ইউনিট।

রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তিকে ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লালগোলা থানার রাধাকান্তপুরের বাসিন্দা রেজাউল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় বহু সংখ্যক মাদকের অ্যাম্পিউল। একাধিক গোত্রের মাদক ছিল ওই ব্যক্তির কাছে। বিভিন্ন নামে তা বাজারে প্রলিত ও বিক্রি করা হয়। এরকম প্রায় ১৩৫২টি এরকম মাদকের অ্যমপিউল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেটি অ্যাম্পিউলে ২ মিলি করে মাদক থাকত। নেশার সামগ্রী হিসেবেই তা বিক্রি করা হত তরুণ বিশেষত পড়ুয়াদের মধ্যে। হেরোইনের দাম বড্ড বেশি। তাই তুলনায় সস্তা এই মাদকই নেশার জন্য ব্যবহার করে নেশাগ্রস্তরা। ঘটনায় উঠে এসেছে রবিউল ইসলাম নামে আরও এক ব্যক্তির নাম। তার বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর নেশার অ্যাম্পিউল। তবে তল্লাশির খবর পেয়েই গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত রবিউল। গ্রেপ্তার হওয়া রেজাউলকে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুরো চক্র সম্পর্কে নানা তথ্য হাতে আসছে। জানা যাচ্ছে, হেরোইনের চড়া দামের কারণেই ইদানিং সস্তার মাদকে ঝুঁকেছে তরুণরা। তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের মধ্যেও। ব্যাপক চাহিদা আছে এই ধরনের অ্যাম্পিউলের।

কীভাবে ছড়াচ্ছে এই মাদক? সহায়ক হয়েছে কোয়াক ডাক্তাররা। তাদের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে এক একটি অ্যাম্পিউল। সাধারণ যা বাজারচলতি দাম, তার থেকে অনেক বেশি দামে এগুলো বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে বহু অর্থের ব্যবসা। পলাতক রবিউলও হাতুড়ে ডাক্তার হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। তার খোঁজ চলছে। ধৃত রেজাউলকে তোলা হয়েছে আদালতে।