মঙ্গলবারেই বেতন হয়ে যাবে সমস্ত সরকারি কর্মীদের, জারি বিজ্ঞপ্তি


নয়াদিল্লিঃ আগামী ৩০ এবং ৩১ মে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট ডেকেছে ব্যাংক ইউনিয়নগুলি। একে একেবারে মাসে শেষ অন্যদিকে বেশির ভাগ জায়গা অর্থাৎ সরকারি কিংবা বেসরকারি অফিসে বেতন হয় সেই সময়। লাগাতার ব্যাংক ধর্মঘটের ফলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও সরকারের তরফে এই ধর্মঘট থেকে ইউনিয়নগুলিকে সরে আসার জন্যে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তা শুনতে নারাজ ব্যাংক কর্মী ইউনিয়নগুলি। ফলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে ইতিমধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এই অবস্থায় কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

জানা গিয়েছে লাগাতার ব্যাংক ধর্মঘটে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সরকারি কর্মীদের। এজন্যে এই মাসে বেতন আগেভাগে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মে মঙ্গলবার অর্থাৎ ধর্মঘটের আগের দিন হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। কন্ট্রোলার জেনারেল অফ অ্যাকাউন্টসের তরফে এমনটাই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। স্বশাসিত সংস্থা সিসিওদের নির্ধারিত ব্যাংকের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে বেতন সম্পর্কিত বিষয়গুলি মেটানোর কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা যাতে ২৯ মে-র মধ্যে বেতন পেতে পারেন, সেজন্য ব্যাংকের কাছে যাবতীয় নথি ২৫ মে-র মধ্যেই পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বেতন ঠিক সময়তে পেয়ে গেলেও বেসরকারি বহু সংস্থায় বেতন হয় ৩০ এবং ৩১ তারিখ। তাদের ক্ষেত্রে কি হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি ইউনিয়নগুলির বহুদিনেরই। সে দাবি পূরণ না হওয়াতেই ধর্মঘটের পথে হেঁটেছে ইউনিয়নগুলি। ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে গোটা দেশজুড়েই। স্তব্ধ হতে পারে ব্যাংকিং পরিষেবা। এমনকি এটিএমও বন্ধ থাকতে পারে ইতিমধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে।