পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসে বিষক্রিয়া? অসুস্থ অন্তত ৩০


খাবারে বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়ে চলন্ত ট্রেণেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাব্দী এক্সপ্রেসের প্রায় তিরিশ জন যাত্রী। বুধবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে পুরি স্টেশন থেকে রওনা হয় পুরি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস। এদিনেক ট্রেনে মোট যাত্রীর সংখ্যা ৪৭৫ জন।

দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে সকালের প্রাতঃরাশের আগে পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। ব্রেকফাস্টের পরই কয়েকজন যাত্রী বমি করা শুরু করেন। এরপর আরও কয়েকজন একই রকম শারীরিক অস্বস্তির অভিযোগ করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ যাত্রীর সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রত্যেকেরই একই উপসর্গ। বমি, পেটে অস্বস্তি সঙ্গে মাথা ব্যাথা।

'চায়ে পে কব্জা'ই কি লক্ষ্য অমিতের
তখনই যাত্রীরা সন্দেহ করেন রেলের দেওয়া খাবার থেকেই গোলমাল। সঙ্গে সঙ্গে কোচ অ্যাটেনডেন্ট এবং টিকেট চেকারদের জানান যাত্রীরা। তাঁরাই যোগাযেোগ করেন খড়গপুরে রেলের আধিকারিকদের। ততক্ষনে যাত্রীদের অনেকেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের অবস্থা দেখে খড়গপুর স্টেশনেই অসুস্থ যাত্রীদের নামিয়ে রেল হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ট্রেন খড়গপুর পৌঁছতেই রেলের চিকিৎসকরা যাত্রীদের চিকিৎসা শুরু করেন। যাঁদের অবস্থার অবনতি হয়েছে এমন ১৩জনকে সেখানকার রেল হাসপাতালে ভর্তি করে হয়।

বাকি যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ট্রেন খড়গপুর থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তিনটে নাগাদ হাওড়াতে বাকি যাত্রীদের নিয়ে পৌঁছয় শতাব্দী এক্সপ্রেস। আইআরসিটিসির গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন। তিনি বলেন, "আমি হাওড়া স্টেশনেই আছি। রিপোর্ট চেয়েছি। আমরা খতিয়ে দেখছি ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল।" তাঁর নির্দেশে যাত্রীদের যে খাবার দেওয়া হয়েছে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে, জানান এক রেল কর্তা।