থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত


পুলিশ পরিচয়ে দুই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। এই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সোমনাথ সাধুখাঁ। বুধবার ধৃতকে বর্ধমানে পকসো আদালতে পেশ করা হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযোগ, থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক মাসের ব্যবধানে দুই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সোমনাথ। পরে মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দু'জনকেই ধর্ষণ করে। মঙ্গলবা রাতে শক্তিগড়ের বেলনা গ্রামের বাড়ি থেকে সোমনাথকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুটি মামলাতেই ধৃতের টিআই প্যারেডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ছ'তারিখে মেমারির পাল্লা রোডের বছর সতেরোর এক কিশোরী রাস্তার ধারে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল। সেই সময় এক যুবক এসে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। তার পর রাস্তায় অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে থানায় যেতে বলে। তার পর ওই কিশোরীকে নিজেই থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাইকে তোলে। অভিযোগ, নির্জন জায়গায় বাইক থামিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে সেখানেই নির্যাতিতাকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সংজ্ঞাহীন কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের তরফেই থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। এর আগে গত এপ্রিল মাসের তিন তারিখে এই ঘটনাই ঘটে। সন্ধ্যা নাগাদ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে এক নাবালিকা তার পরিচিত যুবকের সঙ্গে গল্প করছিল। ঘটনাস্থল শক্তিগড় থানার বড়শুল হাসপাতাল লাগোয়া রাস্তা। কিছুক্ষণ গল্প করার পর ওই যুবক বাড়ি ফিরে যায়। তারপরই ঘটনাস্থলে বাইক নিয়ে উদয় হয় এক যুবক। নিজেকে পুলিশ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে জানায়, ওই কিশোরীর পরিচিত যুবককে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর ওই কিশোরীকেও থানায় যেতে হবে বলে বাইকে চাপতে বলে।একইভাবে তাকেও নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে শক্তিগড় থানা এলাকায় পরপর একই ধরনের ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। দুই নির্যাতিতাকে বারংবার জেরা করেই অভিযুক্তের হদিশ মেলে। তারই ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোমানাথ সাধুখাঁকে।