অবসরের ৯ বছর পরেও পাননি পেনশন, অবসাদে আত্মঘাতী প্রাক্তন শিক্ষক !


জলপাইগুড়ি : নয় বছর ধরে পেনশন পাননি। আটকে রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও। তাই মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন বাবা। ৭০ বছরের এক প্রবীণ ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর এই অভিযোগ করলেন তাঁর ছেলে।

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির থানার বাংলারঝাড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন গয়চন্দ্র রায়। ময়নাগুড়ি দোমহনি রাখালহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০০৯ সালে অবসর নেন। কিন্তু তারপর নয় বছর কেটে গেলেও আজ অবধি প্রাপ্য টাকার কিছুই হাতে পাননি। পেনশন পেতেন না, আটকেছিল প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা করেছিলেন, যেসব জায়গায় যোগাযোগ করা দরকার সেসব জায়গায় গিয়ে দেখাও করেছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এরপর গতকাল সকালে বাড়ি থেকে ১৫০ মিটার দূরে একটি নিমগাছ থেকে উদ্ধার হয় গয়চন্দ্রর ঝুলন্ত দেহ। প্রতিবেশীরা দেহ দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন থানায় জানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। 

গয়চন্দ্রর ছেলে ত্রৈলোক্যনারায়ণ রায়ের অভিযোগ, নয় বছর ধরে পেনশন না পাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর বাবা। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। ময়নাগুড়ি থানায় একথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ত্রৈলোক্যনারায়ণ। এবিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মৃণ্ময় ঘোষ বলেন, "শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনা দুঃখজনক। তবে তিনি কী কারণে এতদিন ধরে পেনশন পাননি তা খতিয়ে দেখছি।"