ব্যাংকের ক্ষতি চিন্তায় ফেলছে কেন্দ্রকে


নয়াদিল্লি: বেড়েই চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির লোকসানের বহর। যারা লাভ করেছে তাদেরও আগের তুলনায় কমেছে লাভের অংক ৷ আর ব্যাংকগুলির এই আর্থিক ফলাফল চিন্তায় ফেলেছে মোদী সরকারকে৷ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ব্যাংকিং ক্ষেত্রের অবস্থা বিপজ্জনক। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, 'ব্যাংকে রাখা মানুষের টাকা আদৌ সুরক্ষিত কি না?' আর মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন- 'আর অচ্ছে দিনের কী হচ্ছে?'

গত জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে যেসব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি লোকসান করেছে সেগুলি হল- ইউনিয়ন ব্যাংক, এলাহাবাদ ব্যাংক, ইউকো ব্যাংক, কানাড়া ব্যাংক, দেনা ব্যাংক ও ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অব কমার্স৷ এদের মোট লোকসানের পরিমাণ ১৫,৯৬২ কোটি টাকা। তবে এখনও নীরব মোদী প্রতারণায় আঘাতপ্রাপ্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল বের হয়নি, তা আগামী মঙ্গলবার প্রকাশ হবে৷ ফলে সেটার দিকে আপাতত অনেকেই তাকিয়ে রয়েছে৷

তবে এই ক্ষতি যে বেশ উদ্বেগজনক তা মানছেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাও। লক্ষ্য করা গিয়েছিল গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকেও ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মোট লোকসানের অংকটা ছিল ১৮,০৯৭ কোটি। সেই ক্ষতির পরিমাণটাই তার আগের তিন মাসের তুলনায় প্রায় সাড়ে চার গুণ বেশি ছিল। এবারে মাত্র ছ'টি ব্যাংকের লোকসানের পরিমাণই প্রায় তার কাছাকাছি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এখন অনুৎপাদক সম্পদ বা ঋণ খেলাপের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে গিয়েই ব্যাংকগুলির দৈন্য দশা আরও বেরিয়ে পড়ছে। আগে ঋণ খেলাপের ক্ষেত্রে তা শোধ করার জন্য নানা রকম সুযোগ দিত। কিন্তু এখন রিজার্ভ ব্যাংক সে পথে হাঁটতে দিতে চাইছে তারই জেরে ফেব্রুয়ারি থেকে এ রকম ছ'টি প্রকল্প বন্ধ হয়েছে। তাছাড়া বন্ডের লেনদেন করতে গিয়েও সুদ বেশি দিতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয় পরিস্থিতি বিচার করে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেনা ব্যাংককে নতুন ঋণে দিতে নিষেধ করেছে৷