'বয়স্ক বাবা-মায়ের কাজ শুধু নাতি-নাতনি সামলানো নয়', ঐতিহাসিক রায় আদালতের


পুনের পারিবারিক আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের অধিকারকে সুরক্ষিত করল। শুধু বাড়িতে বসে নাতি-নাতনি সামলানোই বয়স্কদের একমাত্র কাজ নয়, তাদেরও জীবন রয়েছে। সেই অধিকারকেও আদালত সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে।

আদালত জানিয়েছে, সন্তানের দায়িত্ব বাবা-মাকেই নিতে হবে। দাদু-দিদা তাদের সাহায্য করতে পারেন। তবে তার মানেই এই নয়, তাদের ঘাড়ে সমস্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হবে। যার ফলে তারা নিজের মতো করে অবসর সময় কাটাতে পারবেন না বা কোথাও ঘুরতে যেতে পারবেন না।

আদালত জানিয়েছে, সন্তানের দায়িত্ব বাবা-মাকেই নিতে হবে। দাদু-দিদা তাদের সাহায্য করতে পারেন। তবে তার মানেই এই নয়, তাদের ঘাড়ে সমস্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হবে। যার ফলে তারা নিজের মতো করে অবসর সময় কাটাতে পারবেন না বা কোথাও ঘুরতে যেতে পারবেন না।

পুনে আদালতে এক মহিলা অভিযোগ জানান, তাঁর সন্তানকে দাদু-দিদা ক্রেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। যা শুনে আদালত জানিয়েছে, এর জন্য দাদু-দিদা দায়ী নয়। আজকের দিনে বাবা-মা দুজনেই চাকরি করলে ছেলেমেয়েদের ক্রেশে রাখা নিয়ে বয়স্কদের ঘাড়ে দোষ চাপালে হবে না।

আদালতের ব্যাখ্যা, আজকের দিনে মনে করা হয়, দাদু-দিদা বা ঠাকুমা-ঠাকুরদা মানেই তাঁরা বাচ্চার দেখভাল করবে। এভাবে দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ বয়স হলে তখন মানুষ নিজের মতো করে অবসর করার সসময় পায়। সেটাকে এভাবে নষ্ট করা যায় না। ফলে বাবা-মায়েদেরই নিজের সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে।