৩২ দিনে রেজাল্ট বের করে রেকর্ড, আবার এপ্রিলেই জয়েন্ট


প্রকাশিত হল এ বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল। রাজ্যে জয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম হলেন অভিনন্দন বসু, সাউথ পয়েন্টের ছাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন দেদীপ্য রায়। দেদীপ্য হরিয়ানা বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। তৃতীয় হয়েছেন অর্চিষ্মান সাহা, ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র। 

চতুর্থ স্থানে রয়েছেন শুভম আগরওয়াল, সেন্ট টমাস বয়েজ স্কুলের ছাত্র। পঞ্চম হয়েছেন এপিজে স্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি কর। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে শ্রী শ্রী অ্যাকাডেমির ছাত্র নামান বিয়ানি। সপ্তম হয়েছেন দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুলের ছাত্র ঋত্বিক গঙ্গোপাধ্যায়। অষ্টম স্থানে অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনালের ছাত্র রণজয় মেদিয়া, নবম স্থানে রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র অভিষেক শ্রীবাস্তব এবং দশম স্থানে বিশাখাপত্তনমের FIITJEE-র ছাত্রী আয়ুষী বিদ্যান্ত। 

এ বছর জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কৃতকার্য হয়েছেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৮১ জন। ফার্মেসি-তে কৃতকার্যের সংখ্যা ১০৪৬৩০। পরীক্ষায় বোর্ড অবজার্ভার ছিলেন ৪২৩ জন। পরের বছরের পরীক্ষার জন্য ২০১৮-র ডিসেম্বরে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং ২০১৯-এর ২১ এপ্রিলে হবে পরীক্ষা। জয়েন্টে কৃতীদের টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 


জয়েন্টে এ রাজ্য থেকে সাফল্যের হার ৬৪ শতাংশ। তার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে সফল ৪৭ শতাংশ। সিবিএসই-তে সাফল্যের হার ২৮ শতাংশ ও ICSE বোর্ডে সফল ৫ শতাংশ। প্রথম দশে রয়েছেন একমাত্র ছাত্রী বিশাখাপত্তনমের আয়ুষি বিদ্যান্ত। আয়ুষি দশম স্থান অধিকার করেছেন। বিকেল ৪টে থেকে অনলাইনে কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন ছাত্ররা। অকৃতকার্যরাও র‌্যাঙ্ক কার্ড পাবেন। তবে তাঁদের কার্ডে র‌্যাঙ্কের জায়গাটি ফাঁকা থাকবে। বিকেল চারটে থেকে www.wbjeeb.in ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন। আর www.wbjeeb.nic.in ওয়েবসাইট থেকে র‍্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন সফল প্রার্থীরা। 

প্রশ্নফাঁস ও টোকাটুকি রুখতে নজিরবিহীন প্রহরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার ৩১ দিনের মাথায় রেজাল্ট বেরলো। পরের বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ২১ এপ্রিল।