শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাজ্যে


কলকাতা: যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনও পর্যন্ত প্রশিক্ষণহীন, তাঁরা যাতে দ্রুত প্রশিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন, বুধবার স্কুল শিক্ষা দফতরের বৈঠকে তার ব্যবস্থার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সূত্রের খবর, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র ৪২ জন৷

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকার বিএড বা ডিএলএড ডিগ্রি নেই, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ''আমরা যে পরিসংখ্যান পেয়েছি, সেই তথ্য অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়া বাকি সকলেই প্রশিক্ষিত৷''

সূত্রের খবর, সমস্যা দেখা দিয়েছে অঙ্কন, শারীর শিক্ষা, সঙ্গীত, নিউট্রিশিয়ান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে৷ কারণ, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচারস এডুকেশন (এনসিটিই)-এর নিয়মাবলী তাঁদের জন্য স্পষ্ট নয়৷ জানা গিয়েছে, আগে এনসিটিইর যে নিয়মাবলী ছিল তাতে এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রফেশনাল ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক ছিল না৷ এনসিটিইর নতুন যে নিয়মাবলী তাতেও এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষিত হওয়ার কথা আলাদা করে উল্লেখ নেই৷ তাই এই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে৷

আর প্রশিক্ষণহীনদের মধ্যে এই ধরনের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যাই বেশি বলে জানা গিয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা এখনও প্রশিক্ষণহীন তাঁদের যত শীঘ্র সম্ভব বিএড বা ডিএলএড করাতে পাঠানো হচ্ছে৷ এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে৷ চলতি বছরের জুনেই তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এ ছাড়া, পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা হওয়ার জন্য গ্রুপ এ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট পাঠাতে হয় স্কুল শিক্ষা দফতরে৷ এতদিন পর্যন্ত এই রিপোর্টের হার্ড কপি জমা করা হত৷ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চলতি বছরের জুন মাস থেকে এই রিপোর্ট অনলাইনে জমা করার ব্যবস্থা করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷ অর্থাৎ, জুন মাস থেকে অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট অনলাইনেই জমা করতে পারবে স্কুলগুলি৷