বোরখার আড়ালে জঙ্গি? ধরবে মহিলা বাহিনী


বোরখায় মুখ লুকিয়ে পালানোর দিন শেষ। জম্মু-কাশ্মীরে ছদ্মবেশী জঙ্গিদের পাকড়াও করতে এবার মহিলাদের নিয়োগ করতে চলেছে সেনাবাহিনী।

এমনিতেই যখন তখন হামলার আশঙ্কা। তার উপর টহলদারি বাহিনীর চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসবাদীরা মাঝে মধ্যেই চড়াও হচ্ছে বোরখা পরে। কখনও আবার হামলার পর বোরখার আড়াল নিয়ে তারা এলাকা ছাড়ছে অক্ষত শরীরে। যেহেতু টহলদারি বাহিনীতে বেশির ভাগই পুরুষ, তাই পোশাক পরীক্ষার উপায় নেই।

বোঝার উপায় নেই যে বোরখার আড়ালে পুরুষ নাকি মহিলা?

সেনাবাহিনীর দাবি, টহলদারির কাজে যে মেয়েদের দরকার, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিবাহিনী কৌশল বদলাচ্ছে। সেনা বাহিনীর উপর পাথর হামলা তো বটেই, এমনকী বড়সড় নাশকতার কাজেও নামানো হচ্ছে মহিলাদের। বোরখার আড়ালে অস্ত্র পাচারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।বারবার ধাক্কা খেতে-খেতে অবশেষে মহিলা রক্ষী নিয়োগ করতে চলেছে সেনাবাহিনী। নিয়োগের কাজ শুরু হবে কয়েক মাসের মধ্যেই।

সুখোমুখি সংঘর্ষস্থলে মহিলাদের মোতায়েনের বিষয়টি ভারতে অন্তর্ভুক্তহয় ২০১৫ সালে। যেখানে গুলি-গোলা, প্রতি মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা, সেই কাশ্মীরে মহিলাদের টহলদারি বাহিনীতে নিয়োগ নিয়ে একাংশের মধ্যে প্রশ্ন তো আছেই। যদিও সেনাবাহিনীর দাবি, একই রকমের কাজে মহিলাদের নিয়োগ করা হচ্ছে ব্রিটেন, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন দেশে। যদি ওরা পারে, তবে পারবে ভারতের মেয়েরাও।