কোটি টাকার সোনা-সহ ধৃত


সম্প্রতি গুয়াহাটি, ইম্ফল-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর থেকে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল পাচারকারী। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নজরদারি বৃদ্ধির কারণেই এই ধরপাকড়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে একটানা সড়ক পথেই সোনা নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। প্রথমে মায়ানমার-মিজোরাম সীমান্তের জোখাওথার থেকে আইজল। সেখান থেকে শিলং, শিলিগুড়ি ছুঁয়ে কলকাতায়।

তবে শেষরক্ষা হয়নি। সেই চোরাই সোনা শহরে পৌঁছনোর পরেই ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর কাছে নির্দিষ্ট খবর চলে আসে। শনিবার কলকাতার চৌরঙ্গি এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে সেই সোনা-সহ এফ লালথাঙকিমা নামে বছর ছাব্বিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছেন ডিআরআই অফিসারেরা। তাঁর কাছ থেকে মোট ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার চোরাই সোনা পাওয়া গিয়েছে। লালথাঙকিমার বাড়ি আইজলের দাউরপুল রোডে।

ডিআরআই সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনায় বিদেশি ছাপ মারা আছে। এই সব চোরাই সোনা মূলত মায়ানমার থেকে ভারতে পাচার হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তের মোরে গ্রামকে মূলত এই পাচারের জন্য ব্যবহার করেন বলে ডিআরআই জানিয়েছে। তবে মিজোরামের জোখাওথার-কেও এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। গাড়িতে আনার সময়েও এই সোনাকে অতি যত্নে লুকিয়ে আনা হয়েছে বলে ডিআরআই অফিসারেরা জানিয়েছেন। দু'টি ট্রলি ব্যাগের হাতলের ভিতরে ৩২টি সোনার বিস্কুট ঢোকানো হয়েছিল। ওই অবস্থায় বারবার গাড়ি বদল করে তিন দিন ধরে সোনা নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। গোয়েন্দাদের অনুমান, কলকাতায় বড়বাজার-সহ অন্য এলাকার বেশ কিছু সোনার ব্যবসায়ীকে তা বিক্রি করার কথা ছিল লালথাঙকিমার।

ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে এ নিয়ে কলকাতায় তিনটি সোনা পাচারের ঘটনা ধরা পড়ল। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারত মিলিয়ে ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বছরে মোট ৪৩০ কিলোগ্রাম বিদেশে তৈরি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই। যার বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানা গিয়েছে।