বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই মিলল নিখোঁজ গৃহবধূর কঙ্কাল


রায়দিঘি: পরিত্যক্ত বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই মিলল নিখোঁজ গৃহবধূর কঙ্কাল৷ এগারো মাস আগেই নিখোঁজ হয়েছিলেন গৃহবধূ। তাঁর নাম সোমা সর্দার। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘি থানার নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুরে। অভিযুক্ত স্বামী গোপাল সর্দার পলাতক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছে সোমা সর্দারের কঙ্কাল। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পারার কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতার পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়দীঘি থানার পুলিশ।

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী সোমাকে নিয়ে কলকাতায় থাকতেন স্বামী গোপাল সর্দার। বছর খানেক আগে রায়দিঘির এই গ্রামের বাড়িতে আসে গোপাল। তাদের সংসার ঠিকই চলছিল৷ কিন্তু হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান সোমা। গোপাল থানায় অভিযোগও করেন৷ সোমার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে মৃতার পরিবার।

শুক্রবার গোপালের মামা মারা যাওয়ায় তার ভাইরাভাই পাঁচু নাইয়া নন্দকুমারপুরের বাড়িতে আসেন। সেখানে পরিত্যক্ত বাড়িতে পচা গন্ধ পান। ঘরের ভিতরে মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় পাঁচু বাবুর। প্রতিবেশীদের ডেকে বিষয়টি দেখান তিনি। এরপর এ বিষয়ে স্থানীয় রায়দিঘি থানায় খবর দেয় তারা৷

ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘরের মেঝে খুঁড়ে সোমা সর্দার নামে ওই নিখোঁজ গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার মানুষজন। এদিকে স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়ে এগারো মাস আগেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী গোপাল সর্দার।