তাপসীকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে বিয়ে করে রঞ্জিত, পিছনে তৃণমূলের সালিশি সভা


তাপসী দাসের গর্ভস্থ ভ্রূণ গত ১৯ মার্চ যৌনাঙ্গে হাত ঢুকিয়ে বের করার সময়ে ছ'বছর আগের সিজারের জায়গার চামড়া ছিঁড়ে যায়। এমনটাই দাবি তাপসীর বাবা ধনেশ দাসের। 

২০ মার্চ কুমারগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধনেশ দাস।  তাপসী দাসের গর্ভস্থ ভ্রূণ গত ১৯ মার্চ যৌনাঙ্গে হাত ঢুকিয়ে বের করার সময়ে ছ'বছর আগের সিজারের জায়গায় চামড়া ছিড়ে যায়। এমনটাই দাবি তাপসীর বাবা ধনেশ দাসের। অভিযোগ জানান, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সকলের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাঁর দাবি কুমারগ্রাম থানা অভিযোগপত্র জমা নিলেও স্ট্যাম্প মেরে রিসিভড কপি দেয়নি। 

ধনেশের অভিযোগ, মেয়ের গর্ভস্থ ভ্রূণ নিজেরা হাত ঢুকিয়ে নষ্ট করার পরে মেয়েকে হুমকি দেয়। তাপসী যাতে মুখ না খোলে তার জন্য তাঁকে এবং তার ছ'বছরের ছেলেকেও প্রাণে মারার হুমকি দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। যে কারণে মেয়ে রক্তপাতের মধ্যেও প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ে চুপটি করে ছিল।

তাপসীর বিয়ের পিছনেও নাকি রয়েছে এক সালিশি সভার হাত। কুমারগ্রামের পুখুরিগ্রামে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নিচু তলার নেতা সালিশি সভা বসিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করে বলে অভিযোগ।

কারণ, তাপসী যখন রঞ্জিতদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন তখন রঞ্জিত তাপসীকে অনেকবার ধর্ষণ করে গর্ভবতী করে। মেয়ের বাড়ির অভিযোগেই তাপসীকে বিয়ে করতে নির্দেশ দেয় সালিশি সভা।

কুমারগ্রামের তৃণমুল নেতা প্রেমানন্দ দাস জানান, ''আমি সেই সালিশি সভায় ছিলাম না। তবে আমাদের লোকজনেরা ছিলেন। এই ঘটনা নিন্দনীয়। এর বিহিত হওয়া দরকার।''