এই সরকারি বাবুর দাবি তিনিই নাকি কল্কি অবতার!


তিনি বিষ্ণুর দশম অবতার অর্থাত্‍ কল্কি অবতার। আর তাই তিনি অফিস যেতে পারবেন না। বিশ্বের বিবেক পরিবর্তনের মহান কর্মে তিনি এখন ব্রতী, বিশ্বকে পাপের ভার থেকে মুক্ত করতে এই মহাপুরুষ এখন প্রায়শ্চিত্ত করছেন। তাঁর শো-কজ নোটিশের উত্তরে এমনটাই দাবি করেছেন সর্দার সরোবর পুনরভসভত এজেন্সির সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রমেশচন্দ্র ফেফার। 

রাজকোটে তাঁর বাড়িতে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে রমেশচন্দ্র ফেফার জানান, 'আপনারা বিশ্বাস না করলেও আমার কিছু করার নেই। কিন্তু সত্যিই এটাই যে আমিই ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার। আমিই যে কল্কি অবতার তা বুঝতে পারি ২০১০ সালের মার্চ মাসে। তখন আমি অফিসে ছিলাম। তার পর থেকে ক্রমশ আমার মধ্যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।' 

 তিন দিন আগে তাঁর এজেন্সি থেকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার উত্তরে রমেশ জানিয়েছেন, বিশ্বের বিকেক পরিবর্তন ও পাপ খন্ডেনের জন্যে তিনি যে প্রায়শ্চিত্ত করছেন তা পঞ্চম ধাপে পৌঁছেছে। এবং এই কাজ কখনওই অফিসে বসে করা সম্ভব নয়। ফেফারের দাবি, গত ১৯ বছরে ধরে দেশে যে নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে তা সম্ভব হয়েছে তাঁর তপস্যার জোরেই। শো-কজে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে, তিনি তাঁর এজেন্সিকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এজেন্সিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ—কল্কি অবতার হিসেবে দেশকে বাঁচানোর জন্যে কাজ করা নাকি অফিসে বসে সময় নষ্ট করা। 

শো-কজ নোটিশে বলা হয়েছে, গত আট মাসে মাত্র ১৬ দিন ভদোদরায় স্থিত এজেন্সির দপ্তরে গেছেন ফেফার। কর্তৃপক্ষের দাবি একজন গেজেটেড আধিকারিকের এমন ব্যবহার মানায় না।