ঘরে তরুণীর দেহ, স্বামী এবং দেওর পলাতক


ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করা হল এক তরুণীর মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার সাতগাছির জ্যোতিভীম এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম নাদিয়া পরভিন (২৪)। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। স্বামী ও দেওর পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে যাঁরা থাকতেন, তাঁরা দু'জনেই বেপাত্তা।

দোতলা ওই বাড়ির একতলায় সস্ত্রীক থাকেন বাড়িওয়ালা অজিত মণ্ডল। উপরের তলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন রাহুল কুমার ও নাদিয়া পরভিন নামে এক দম্পতিকে। রাহুলের ভাই নবনীতও তাঁদের সঙ্গে থাকতেন। অজিতবাবু জানান, এ দিন সকালে দোতলা থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। আশপাশে ভনভন করছিল মাছি। সন্দেহ হওয়ায় তিনিই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দোতলার দরজার তালা ভেঙে নাদিয়ার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। তাঁর পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই বাড়ির দোতলায় এক বছর দশ মাস আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়াটে হিসেবে আসেন রাহুল ও নাদিয়া। তার পরে রাহুলের ভাই পরিচয় দিয়ে নবনীত বলে এক যুবকও সেখানে থাকতে শুরু করেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী এ দিন বলেন, ''ওই তরুণীকে খুনই করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।'' 

পুলিশকে অজিতবাবু জানিয়েছেন, গত দু'দিন ধরে বন্ধ ছিল দোতলার ঘরটি। বাইরে থেকে তালা ঝোলায় তিনি ভেবেছিলেন, পরিবারের সকলে মিলে কোথাও গিয়েছেন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, রাহুল কুমার ও তাঁর ভাই নবনীতই এই খুনের ঘটনায় জড়িত। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পরিকল্পিত ভাবেই ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। মৃতার মুখে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নাদিয়াকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে অথবা গলা টিপে খুন করা হয়েছে। 

পুলিশ জেনেছে, রাহুল কুমারের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে। সেখানে তাঁর আর এক স্ত্রী থাকেন। কলকাতা পুলিশের বিশেষ একটি দল শীঘ্রই পালামৌর উদ্দেশে রওনা দেবে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য মৃতা নাদিয়া পরভিনের পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।