টেক্সাসের স্কুলে গুলি, নিহত ১০


ফের বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত আমেরিকার স্কুল। এ বারের হানা টেক্সাসের সান্টা ফে হাইস্কুলে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই স্কুলে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে এক বন্দুকবাজ। ঘটনায় নিহত অন্তত দশ জন। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। নিহতদের বেশির ভাগই পড়ুয়া। জখম আরও অনেকে। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিকও। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় তিনটি হাসপাতালে।

হ্যারিস কাউন্টির শেরিফ এড গঞ্জালভেজ় জানান, হামলাকারী সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে-ও পড়ুয়া বলে জানিয়েছে পুলিশ। সন্দেহভাজন আরও এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।

স্কুল পড়ুয়া অ্যাঞ্জেলিকা মার্টিনেজ় জানায়, সকাল সকাল সবে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। এক সতীর্থের সঙ্গে বাইরে দাঁড়িয়েছিল তারা। তখনই গুলির আওয়াজ। ছুটতে শুরু করে সবাই। কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, গুলিচালনার আগেই স্কুলে অ্যালার্মের শব্দ পেয়ে পড়ুয়ারা দিশেহারা হয়ে ছুটতে শুরু করে। তবে গুলিচালনা ও অ্যালার্মের মধ্যে প্রথমে কিসের আওয়াজে বিভ্রান্ত হয় পড়ুয়ারা, তা স্পষ্ট নয়।

ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই এই বন্দুক-হামলা চলছে। এই নিয়ে গত আট দিনে তৃতীয়বার বন্দুকবাজের নিশানায় মার্কিন শিক্ষাঙ্গন। চলতি বছরে স্কুলে হামলার সংখ্যা ২২। সাম্প্রতিক কালে ফ্লরিডার একটি স্কুলে বন্দুকবাজের হানায় ১৭ জন নিহত হওয়ার পরেই ভয়াবহতার তালিকায় জায়গা করে নেবে টেক্সাসের এই ঘটনা।

ফ্লরিডার স্কুলে হামলার পরে মার্কিন অস্ত্র আইনে বদল আনার দাবিতে সরব হয় গোটা আমেরিকা। যার মূল উদ্যোক্তা ছিল স্কুলপড়ুয়ারাই। এখনও চোখে পড়ার মতো বদল ঘটেনি অস্ত্র আইনে।