দেশকে চমকে দিয়ে ১৮ মাসে অবিশ্বাস্য কীর্তি ৭০-এর বৃদ্ধের


বেশ কয়েক বছর ধরেই মধ্য প্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের এই অঞ্চলে জলের কষ্টে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনও কাজই হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

২২ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে বিহারের গয়ার দুটি ব্লকের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সক্ষম হয়েছিলেন গেহলোর গ্রামের দশরথ মাঝি। ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে নিজের হাতে পাহাড় কেটে, অত্রি ও ওয়াজিরগঞ্জের মধ্যেকার ৮০ কিলোমিটার পথের দূরত্ব কমিয়ে ফেলেছিলেন মাত্র ৩ কিলোমিটারে। গেহলোর পর্বত কেটে এ ভাবে চলার পথ তৈরি করায়, দশরথ মাঝির নাম হয় 'মাউন্টেন ম্যান'।

বাংলার পাহাড়ে দশরথ মাঝির গল্প! অপেক্ষার শেষ, এবার গ্রামে আসবে জল
এমনই এক ব্যক্তির এবার খোঁজ পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরের হাড়ুয়া গ্রামে। নাম, সীতারাম লোধি। বয়স ৭০ বছর। 

বেশ কয়েক বছর ধরেই মধ্য প্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের এই অঞ্চলে জলের কষ্টে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনও কাজই হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ঠিক সেই সময়েই কোদাল হাতে কুয়ো খুঁড়তে শুরু করেন ৭০ বছরের সীতারাম লোধি। 

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ মাস ধরে প্রতিদিন এই বৃদ্ধ কুয়ো খোঁড়ার কাজ চালিয়ে যান। সীতারাম লোধি নিজে বিয়ে না করলেও, পরিবারে রয়েছেন তাঁর ছোট ভাই, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দুই ছেলে। পরিবারের তরফ থেকে এই পরিশ্রমের কাজ করতে স্বাভাবিকভাবেই বাধা দেওয়া হতো বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান সীতারাম। 

গ্রামবাসীরা তাঁর এই কাজ নিয়ে মজা করতেন। কিন্তু প্রায় ৩৩ ফুট খোঁড়ার পরে একদিন হঠাৎই জলের দেখা মেলে সীতারামের কুয়োয়। লোধি পরিবারের প্রায় ২০ একর জমির উপরেই কুয়ো খুঁড়েছিলেন সীতারাম লোধি। 

কিন্তু, ১৮ মাসের শ্রম অচিরেই ধসে পড়ে বর্ষার সময়। কুয়োর জলের স্তর বর্ষার সময় বেড়ে যাওয়ার ফলে মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। 

কিন্তু, তাতেও আটকানো যায়নি সত্তরের 'যুবক' সীতারাম লোধিকে। গ্রামের মানুষের জন্য তিনি আবারও কুয়ো খুঁড়তে রাজি আছেন। তবে, এবার সরকারি সাহায্য চেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের 'ওয়েল ম্যান'।