প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন করল তরুণী


প্রিয়া ও তার লিভ ইন পার্টনার দিকশন্ত কামরা

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, সেখান থেকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল জয়পুরের ব্যবসায়ী ২৭ বছরের দুষ্মন্ত শর্মা। কিন্তু সেই তরুণীই যে আসলে এক অপরাধ চক্রের চাঁই, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি দুষ্মন্ত। এক সন্তানের বাবা বিবাহিত ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে গত ৩ মে খুন করে প্রিয়া শেঠ নামে ওই তরুণী। তদন্তে নেমে প্রিয়া ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

অর্থবান লোকেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তারপর ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ এনে মোটা টাকা হাতানো প্রিয়ার দীর্ঘদিনের কারবার। এরকমই একটি ঘটনায় জামিনে মুক্ত ছিল সে। তার মধ্যেই প্রিয়ার আলাপ হয় দুষ্মন্ত শর্মার সঙ্গে। দুষ্মন্ত আবার নিজের পরিচয় দেয় কোটিপতি ব্যবসায়ী বলে। বার কয়েক বাইরে দেখা-সাক্ষাত্‍ করেই দুষ্মন্তকে নিজের ফ্ল্যাটে ডাকে প্রিয়া। সেই মতো গত ২ মে জয়পুরের বাজাজ নগর এনক্লেভে যায় দুষ্মন্ত। সেখানে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল প্রিয়ার লিভ ইন পার্টনার দিকশন্ত কামরা (২০) এবং তার বন্ধু লক্ষ্য ওয়ালিয়া (২১)। দুষ্মন্ত ঘরে ঢুকতেই তিনজনে মিনে তাকে বেঁধে ফেলে এবং ১০ লক্ষ টাকা চায়। 

দুষ্মন্ত জানায় যে সে কোটিপতি নয়, মাঝারি মাপের একজন ব্যবসায়ী। এরপর দুষ্মন্তের বাবা রাজেশ্বর শর্মাকে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রিয়া। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁরা যোগাড় করতে পারবেন বলে জানান রাজেশ্বর। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিলে প্রিয়াদের মনে নতুন চিন্তা আসে যে এখান থেকে বেরিয়েই দুষ্মন্ত পুলিশের কাছে যাবে। তখন দুষ্মন্তকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। প্রথমে তার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে, তারপর সবজি কাটার ছুরি দিয়ে কুপিয়ে তিনজনে মিলে দুষ্মন্তকে খুন করে। পরে গভীর রাতে মৃতদেহ শহরের বাইরে কুকাস এলাকায় ফেলে আসে। ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।