ফাইনালে ধোনিরা, আজ কেকেআর জিতলে প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ


খেলা শুরুর আগে আমার মন বলছিল, খেলাটা চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলিংয়ের। শেষ পর্যন্ত ঠিক সেটাই হল।

আইপিএলের অন্যতম সেরা নাটকীয় ম্যাচ দেখলাম এ দিন। ভুবনেশ্বর কুমারকে শেষ ওভারের প্রথম বলে ফ্যাফ ডুপ্লেসি (৪২ বলে ৬৭) ছয় মেরে জেতানোর আগে প্রায় পেন্ডুলামের মতো দুলল খেলাটা।

শুরুতে সানরাইজার্স ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা দেখে এক সময় মনে হচ্ছিল আমার অনুমান ভুল। চেন্নাইয়ের বোলিং ফাইনালে নিয়ে যেতে চলেছে ধোনিদের। কিন্তু সুপার কিংসের ব্যাটিংয়ের সময় আবার মনে হচ্ছিল ভুবনেশ্বর কুমাররাই (১-১৪) কামাল করে হায়দরাবাদকে ফাইনালে নিয়ে যাচ্ছেন ১৩৯ রানের পুঁজি নিয়ে। কিন্তু চেন্নাই সব বিভাগে দারুণ খেলে সপ্তম বার ফাইনালে চলে গেল। কেন উইলিয়ামসনদের জেতা ম্যাচটা ঘুরে গেল ১৮তম ওভারে কার্লোস ব্রাথওয়েট বল করতে আসতেই। তার আগে ১৮ বলে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৪৩ রান। সেই ওভারে উঠল ২০ রান। আমার মতে এটাই ম্যাচের 'টার্নিং পয়েন্ট'। হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এই সময় ব্রাথওয়েটের বদলে সন্দীপ শর্মাকে বল দিলেই পারতেন। কারণ সন্দীপের বলে গতি কম, উইকেট টু উইকেট বল করেন। ফলে ওঁকে মারা সহজ হত না ডুপ্লেসি ও শার্দূল ঠাকুরের কাছে।  কিন্তু এই দু'জনেই এ রকম একটা কঠিন ম্যাচ চেন্নাইকে দুই উইকেটে জেতালেন। তাও আবার পাঁচ বল বাকি থাকতে। হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৩৯-৭। চেন্নাই শেষ করল ১৪০-৮।

ব্রাথওয়েটের পরের ওভারে শার্দূল ঠাকুর ক্রিজে এসেই সিদ্ধার্থ কলের বলে ১৫ রান (পাঁচ বলে) করে এ দিন খলনায়ক থেকে নায়ক হয়ে গেলেন। হায়দরাবাদ শার্দূলের শেষ ওভারেই ২০ রান তুলে পৌঁছেছিল ১৩৯ রানে। চার ওভারে শার্দূল দিয়েছিলেন ৫০ রান। ধোনিরা হারলে তিনিই হতেন খলনায়ক। 

হায়দরাবাদ এর আগে শেষ তিন ম্যাচ হেরেছিল। আজ চতুর্থ হার হয়ে গেল। ওদের ছন্দটা টানা হারের ফলে ধাক্কা খেয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে সফল ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসনও (১৫ বলে ২৪ রান) ব্যর্থ। ধোনির সুবিধাটা হয়েছে লুঙ্গি এনগিডি (১-২০) দলে ফেরার পরে চেন্নাইয়ের বোলিং অনেক পোক্ত। শুরুতেই অল্প রানে তিন উইকেট চলে যাওয়ার পরে হায়দরাবাদ মিডল অর্ডার চাপ সামলাতে পারেনি। ধোনি তার উপর পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ও রবীন্দ্র জাডেজা ও ডোয়েন ব্র্যাভোকে এনে আরও স্পিনের ফাঁদে জড়িয়ে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদকে। তাই বড় রানে পৌঁছতে পারেননি মণীশ পাণ্ডেরা।