রাজস্থানে ধুলোঝড়ের তাণ্ডব, মৃত ২৭, আহত শতাধিক


গুমোট গরমের অস্বস্তি ছিল দিন কয়েক ধরেই। দাবদাহের প্রবাহে কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হ়ঠাৎই শুরু হয় প্রবল হাওয়া। কিন্তু, স্বস্তির বদলে মুহূর্তে তা বদলে গেল আতঙ্কে। হাওয়ার গতিবেগ ক্রমশই বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ধুলোঝড়। ক্রমশই তা ভয়াবহ চেহারা নেয়। নিমেষের মধ্যে উপড়ে পড়ে বড় বড় গাছ, উড়িয়ে নিয়ে যায় দোকানঘর, অস্থায়ী ছাউনি, ঘরবাড়ির ছাদ।

বুধবার রাতে প্রবল ধুলোঝড়ের তাণ্ডব চলল অলওয়ার, ভরতপুর, ঢোলপুর-সহ পূর্ব রাজস্থানের বিভিন্ন জেলায়। ঘটনার জেরে মারা গিয়েছেন ২৭ জন। আহত শতাধিক। প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনায় মৃতের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।
ধুলোঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভরতপুর এবং অলওয়ার জেলা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র ভরতপুরেই মারা গিয়েছেন ১২ জন। এ ছাড়া, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অলওয়ারে চার, ঢোলপুরে পাঁচ, ঝুনঝুনু ও বিকানেরে এক জন করে এবং অন্যান্য জায়গায় আরও চার জন মারা গিয়েছেন। ঝড়ের দাপটে অলওয়ারে একশোরও বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি-দোকানপাটের উপরে সেই গাছ পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন বহু মানুষ।

ঝড়ের জেরে বিদ্যুতের খুঁটির উপরে গাছ পড়ায় তার ছিঁড়ে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেরা বিঘ্নিত হয়েছে। অলওয়ারের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার এগ্‌জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ডি পি সিংহ বলেন, "ঝড়ের দাপটে এক হাজারেরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। গোটা শহরই অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে।" তাঁর মতে, "পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও দিন দুয়েক সময় লাগবে।"

ঝড়ের জেরে জেলায় জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দ্রুত গতিতে উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অলওয়ারের জেলাশাসক রাজন বিশাল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার কাজ শুরু হয়েছে।

এ দিন মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রাজে। আহতদের সমস্ত রকমের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, নিজের জন্মদিনের উৎসব পালন বন্ধ রেখেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত।