বলির হাত থেকে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নায়ক মসজিদের ইমাম


ফের অন্ধবিশ্বাসের বলি হতে পারত দুই নাবালিকা। ফের কুসংস্কার অকালেই কেড়ে নিত দুটি প্রাণ। কিন্তু তেমনটা হতে দিলেন না ইমরান ভাই শাহ। কুসংস্কারের বলি হওয়ার হাত থেকে ১১ বছর ও আট বছরের দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে মানবিকতার নজির গড়লেন তিনি। আর তাই তাঁকে পুরস্কৃত করল মহারাষ্ট্র পুলিশ।

দুই কিশোরীকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাদের মহারাষ্ট্র থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সুরাটে। উদ্দেশ্য বলি দেওয়া। কিন্তু ইরমান ভাই শাহর মতো সৎ ব্যক্তির দেখা মেলায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় দুই নাবালিকা। সুরাটের কিম কোথওয়ার এক মসজিদের ইমাম ইমরান জানান, একদিন তিনি মসজিদে দুই কিশোরীকে বসে কাঁদতে দেখেন। কৌতূহলের বশেই তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে যান তিনি। তখনই ইমরানকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে তারা। জানায়, মহারাষ্ট্রের নন্দারবার জেলার শাহদা গ্রামের বাসিন্দা তারা। দিন পাঁচেক আগে ৬৫ বছরের বাব্বান পাওরা নামের এক ব্যক্তি তাদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। সে-ই তাদের সুরাট নিয়ে আসে। ঘটনার কথা জানতেই ইমরান এবং তাঁর সহকর্মীরা কোসাম্বা থানায় খবর দেন। সেই থানাতেই প্রথমে নিয়ে আসা হয় দুই নাবালিকা। এরপর মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুই কিশোরীকে।

এদিকে দুই নাবালিকা নিখোঁজের অভিযোগ আগেই জমা পড়েছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি। কিন্তু অনেক খুঁজেও তাদের হদিশ মেলেনি। ফলে তাদের সন্ধান দিতে পারলে ৭০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শেষমেশ কোসাম্বা থানার পুলিশ কিশোরী উদ্ধারের খবর দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশকে। আর তাই ৭০ হাজার টাকা পুরস্কার অর্থ তুলে দেওয়া হয় ইমরানের হাতে।

এদিকে অভিযুক্ত বাব্বানকে গ্রেপ্তার করেছে কোসাম্বা থানার পুলিশ। তাকে জেরার পরই অপহরণের উদ্দেশ্য জানতে পারে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, বলি দেওয়ার জন্য নিজের ছেলেকেও হয়তো খুন করেছে অভিযুক্ত। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।