জ়াকারবার্গ এ বার ইইউ পার্লামেন্টে


তিনি মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হয়েছেন। ব্রিটেনের জেরা এড়িয়ে গিয়েছেন সংস্থার এক প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে। কিন্তু ফেসবুকের সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ মঙ্গলবার রাতে ফের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন ইউরোপে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দাবি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকার কর্মীদের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হবেন জ়াকারবার্গ। গোটা পর্বটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে। ব্রিটেনের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে রাজনৈতিক প্রচারের কাজে লাগানোর যে অভিযোগ উঠেছে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুক, উভয়েই তা মেনে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ফেসবুক ইউজ়ার-এর মধ্যে ২৭ লক্ষ ইউজ়ার ইউরোপের। ফলে তাঁদের কাছে জবাবদিহির দায় রয়েছে জ়াকারবার্গের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন তথ্য সুরক্ষায় নতুন আইন আনছে। তিন দিন পরই ওই আইন চালু হবে। সেখানে তথ্য সুরক্ষা লঙ্ঘিত হলে এখন থেকে অভিযুক্ত সংস্থাকে তার বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ‌জ়াকারবার্গ তাঁর ক্ষমা প্রার্থনার বক্তৃতায় ইউরোপের তথ্য সুরক্ষার নজরদারিতে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে মার্কিন কংগ্রেসে জ়াকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা এমন উপভোক্তাদের তথ্যও সংগ্রহ করেন, যাঁরা সরাসরি ইউজার নন। ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাট ববি রাশ সে কথা শুনে বলেছিলেন, ''এ তো এফবিআই নজরদারির সমতুল্য!'' ব্রিটেনের জিজ্ঞাসাবাদে অবশ্য জ়াকারবার্গ নিজে শামিল হননি। সংস্থার শীর্ষ প্রযুক্তি আধিকারিক মাইক শ্র্যোপফারকে পাঠিয়েছিলেন। ব্রিটেনের অভিযোগ,   শ্র্যোপফার বেশ ভাসা ভাসা উত্তর দিয়েছিলেন। ব্রিটেনের তরফ থেকে বাছাই ৫০টি প্রশ্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে পাঠানো হয়েছে। সেগুলোও এ বার জ়াকারবার্গকে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে। তিনি ইতিমধ্যেই বেলজিয়ামের  ব্রাসেলস-এ, অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর শহরে পৌঁছেছেন।