গাঁ থেকে গুগলে, বেতন কোটিতে


মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করতে চাননি বাবা। সেই মেয়েই গুগলের 'সলিউশন ইঞ্জিনিয়ার' হয়ে বছরে এক কোটি আট লক্ষ টাকা প্যাকেজের চাকরি নিয়ে সুইৎজারল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন। পটনার লাগোয়া খগোল গ্রামের মধুমিতা শর্মা ২৫ বছর বয়সেই আলোচনার কেন্দ্রে। মেয়ে মাসে প্রায় ন'লক্ষ টাকা বেতন পাবে শুনে ভিড় জমছে সুরেন্দ্র শর্মার বাড়ির সামনে। এর আগে বিহারে এত বেতনের চাকরিতে কত জন যোগ দিয়েছেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে তাঁদের। পরিবারে মধুমিতাই প্রথম বিদেশে গেলেন। ফেব্রুয়ারিতে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। এ বার সুইৎজারল্যান্ডে। 

বাড়িতে অপরিচিত কেউ এলেও মিষ্টিমুখ করাতে ভুলছেন না বাবা সুরেন্দ্র। বললেন, ''আমাজন, মাইক্রোসফট, মার্সিডিজেও চাকরির অফার পেয়েছিল মধুমিতা। শেষে গুগলে যোগ দিয়েছে গত সোমবার।'' এক দিন তাঁকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করতে চাননি— সে কথা স্বীকার করে নিয়েও মেয়ের সাফল্যে গর্বিত বাবা বললেন, ''সে দিন যদি ওঁর কথা না শুনতাম। তা হলে ভুলই হত''

শোনপুরে আরপিএফ ডিএসপি সুরেন্দ্র বলেন, ''উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৬% পেয়েছিল। ভাল কলেজে এই নম্বরে ভর্তি হওয়া মুশকিল। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের কম নম্বরের উপরে যে সাফল্য নির্ভর করে না, তা প্রমাণ করল আমার মেয়ে।''

জয়পুরে কম্পিউটার টেকনোলজিতে বিটেক করেন মধুমিতা। উচ্চ মাধ্যমিক পটনার লাগোয়া বেসরকারি স্কুল থেকে। তাঁর প্রেরণা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। তাঁর ঘরে এখনও রয়েছে কালামের ছবি।