টিভির রিমোট নিয়ে দিদির সঙ্গে ঝগড়া, গলায় দড়ি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর


বাবা-মা দু' জনেই চাকরি করেন। তিনতলা বাড়ির এক তলায় তাঁরা থাকতেন ২ মেয়ের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ টিভির রিমোট হাতে পাওয়া নিয়ে ১২ বছরের দিদির সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় ১০ বছরের মানুষী-র। অনেক ক্ষণ চেষ্টা করেও রিমোট হাতে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ছোটবোন। 

ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায়। দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে অফিসে বেরোন অভিভাবকরা। স্কুলের দিনে দুই মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে বেরোন তাঁরা। স্কুলে নামিয়ে চলে যান কাজে। সদ্য গরমের ছুটি পড়েছে। তাই বাড়িতেই ছিল দুই বোন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কার্টুন দেখা নিয়ে দুই বোনের বচসা শুরু হয়। অনেক ক্ষণ ধরে ঝগড়া হওয়ার পর নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় মানুষী। এর মাঝেই তিনতলা থেকে নীচে নেমে ওদের ঠাকুরমা দেখেন, মানুষী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। তাঁর চিত্‍কারেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

 ঘটনায় হতবাক সকলে। ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার রাজীবকুমার সিং জানিয়েছেন, মানুষীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফ থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।