অজানা 'নিপা ভাইরাস' কী, মারণ এই ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নিন একনজরে


ভারতে হানা দিয়েছে নিপা ভাইরাস। আমজনতার কাছে এই ভাইরাস বেশ অজানা। সেভাবে কোনও প্রতিষেধকও আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। দক্ষিণের রাজ্য কেরলে এই ভাইরাসের হানায় ইতিমধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে বাড়ছে ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা। এই অবস্থা চলতে থাকলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কোমর বেঁধে এই ভাইরাসের হানা ঠেকাতে নেমেছে। তবে সাধারণ মানুষের এই ভাইরাস নিয়ে জানা প্রয়োজন। কী করবেন, কী করবেন না, জেনে নিন একনজরে।


নিপা কী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যাখ্যা অনুযায়ী নিপা একধরনের উঠতি ভাইরাস। যা পশু থেকে মানুষের দেহে বাসা বাঁধে। পশু ও মানুষ দুই প্রজাতিকেই সমানভাবে আক্রমণ করে। এবং এর প্রভাবে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে।

মালয়েশিয়ায় ভাইরাস ধরা পড়ে ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার কামপুং সুনগাই নিপা-তে এই ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। সেই থেকে এই জায়গার নাম থেকে ভাইরাসের নাম নিপা রাখা হয়। প্রথমে শূকরের দেহে এটি বাসা বাঁধে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে মানুষের দেহে এই ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। পরে ভারতে হাসপাতালে মানুষের শরীর থেকে মানুষে শরীরে তা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়।

   

পরিবহণ
বাদুর থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে। গাছের ফলে বাদুর কামড় বসালে তা মানুষ খেলে তা থেকে নিপা হতে পারে। এভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকের নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে। এছাড়া শূকর থেকে, আক্রান্ত মানুষের থেকেও এই ভাইরাস ছড়ায়।
   

লক্ষণ
নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট, সংক্রমণ ও এনকেফেলাইটিসের শিকার হতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এভাবেই এই সংক্রমণকে ব্যাখ্যা করেছে। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।
   

চিকিৎসা
এই ভাইরাসের কোনও টীকা মানুষ বা পশু কারও জন্যই এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। শরীরে ভাইরাস ধরা পড়লে ইনটেনসিভ সাপোর্টিভ কেয়ারে রেখে চিকিৎসা করা হয়। যে ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা দেখে সেটার প্রতিকারের চেষ্টা হয়।
   

সাবধানতা
অসুস্থ বা রোগগ্রস্ত শূকর, বাদুরের মতো প্রাণী থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো। গাছ থেকে পড়ে যাওয়া ফল না খেলেই ভালো হয়। বিশেষ করে যে ফল পাখি বা বাদুরে খেয়েছে এমন। এমনটাই টোটকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।