বিনা যুদ্ধের ভোটে সাশ্রয় ৩৮ কোটি
টানাটানির সংসারে খরচ বাঁচাল বিনা যুদ্ধের জয়!
ব্যালট পেপারে ছাপ পড়ার আগেই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ— তিন স্তর মিলিয়ে ২০,০৭৬টি আসনে জয়পরাজয়ের ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। দু-একটি ছাড়া সব আসনেই জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আর তার ফলে ১১,০১৬টি বুথে ভোট করার দরকার হবে না। প্রয়োজন পড়বে না ব্যালট পেপার ছাপানোর। বুথে যেতে হবে না পুলিশ, ভোটকর্মীদের। এক একটি বুথের জন্য গড়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ বরাদ্দ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে রাজ্য সরকারের সাশ্রয়ের পরিমাণ ৩৮ কোটির টাকার বেশি। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটের খরচ রাজ্য সরকারি বহন করে।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, খরচ বাঁচানোর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বীরভূম। সেখানে ২৭৯৮টি বুথের মধ্যে ২৩২৪টি, অর্থাৎ ৮৩.০৬ শতাংশ বুথেই ভোট হবে না। তার পরেই বাঁকুড়ার ৩০১৪টি বুথের মধ্যে ১৭৩৭টি বুথে ভোট করানোর দরকার নেই। শতাংশের হিসেবে যা ৫৭.৬৩। এর কাছাকাছিই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে ৫১০৭টির মধ্যে ২৮২৪টি, অর্থাৎ ৫৫.৩০ শতাংশ বুথে ভোট হবে না। ভোট ছাড়াই হারজিতের ফয়সালা হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ২৬.৫ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৪.৫ শতাংশ বুথে।
বিনা যুদ্ধে জয় নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু হাসি ফুটেছে অর্থ দফতরের কর্তাদের মুখে। বাড়ন্ত সংসারে ৩৮ কোটির সাশ্রয়কে 'পরম পাওনা' বলেই দেখছেন তাঁরা।