প্রতিবাদ করায় ৭৮ বছরের মাকে মার


পারিবারিক বিবাদের জেরে বৃদ্ধা মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল ছোট ছেলের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, শাশুড়িকে বাঁচাতে গেলে ওই যুবকের বৌদিকেও মারধর ও নিগ্রহ করা হয়। নেতাজিনগর থানার শ্রীকলোনির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা বুধবার তাঁর ছোট ছেলে এবং অন্য এক মহিলার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ'টি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, অভিযুক্ত মহিলা বৃদ্ধার ছোট ছেলের পরিচিত। এর আগেও তিনি বৃদ্ধার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শ্রীকলোনির বাড়িতে দোতলায় সপরিবার থাকেন বৃদ্ধার বড় ছেলে। তিনি সরকারি চাকুরে। একতলায় থাকেন ৭৮ বছরের ওই বৃদ্ধা। তাঁর স্বামী মাসখানেক আগে মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধার ছোট ছেলে চাকরি করেন আসানসোলে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে বৃদ্ধার ছোট ছেলের সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক আপত্তি রয়েছে। বৃদ্ধার অভিযোগ, ওই মহিলা আগে তাঁর স্বামীর দেখভাল করতেন। এখন ছোট ছেলে তাঁকে বিয়ে করতে চাইছেন। তিনি তা মানবেন না।

বিষয়টি নিয়ে কিছু দিন ধরেই অশান্তি চলছে পরিবারে। এর আগেও বৃদ্ধা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা।

পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো এই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর বড় বৌমা ফের থানায় যান। রাত ৮টা নাগাদ ফিরে বৃদ্ধা দেখেন, একতলায় তাঁর ঘরের তালা ভেঙে দখল নিয়েছেন ছোট ছেলে এবং অভিযুক্ত মহিলা। বৃদ্ধা এর প্রতিবাদ করে তাঁদের বেরিয়ে যেতে বললে ওই দু'জন তাঁকে মারধর ও নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। বড় বৌমা এবং নাতনি বাধা দিতে এলে তাঁরাও প্রহৃত হন।

 বৃহস্পতিবার বৃদ্ধা ফোনে বলেন, ''ছোট ছেলেকে ঘর ছেড়ে দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু ওই মহিলাকে আমি বাড়িতে থাকতে দেব না।'' তাঁর বড় বৌমা জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শাশুড়ি। তাঁর চিকিৎসা চলছে।