অমরনাথ যাত্রার আগে জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের


অমরনাথ যাত্রার আগে বড়সড় হামলা চালাতে পারে লস্কর ও জৈশ জঙ্গিরা, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে গোয়েন্দাদের রিপোর্টে। আর এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও।

প্রতি বছরই অমরনাথ যাত্রার সময় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় উপত্যকা জুড়ে। পুণ্যার্থীদের উপর যাতে কোনও রকম জঙ্গি হামলা না হয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সেনা মোতায়েন করা থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কিন্তু এ বার রমজান মাস উপলক্ষে গত কুড়ি দিন ধরে উপত্যকায় সেনা অভিযান বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র এবং তা মেহবুবা সরকারের আর্জি মেনেই। কিন্তু তার পরেও বন্ধ হয়নি হামলা। আর তাতেই ঘুম উড়েছে কেন্দ্রের।

অমরনাথ যাত্রায় লাখ লাখ পুণ্যার্থী যান। সকলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর সরকার। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়েছিলেন। সেখানে মেহবুবা মুফতি তাঁকে অভিযান বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আর্জি জানান। অমরনাথ যাত্রা এবং লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেই পথে কেন্দ্র হাঁটবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই।

গোয়েন্দাদের রিপোর্ট বলছে, প্রায় সাড়ে চারশো নতুন লস্কর জঙ্গি এই মুহূর্তে সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করছে এ দেশে ঢোকার অপেক্ষায়। অমরনাথ যাত্রার আগে বড়সড় হামলা চালানোর জন্য তাদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) এবং আইএসআই। গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, সাড়ে ৪০০ জঙ্গিদের মধ্যে বেশির ভাগই জৈশ জঙ্গিগোষ্ঠীর। এদের নায়ালিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাক সেনারা। বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) হিসাবে সীমান্তে কাজ করার জন্য ৬১ জন লস্কর জঙ্গিকে জুরাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এসএসজি। শুধু তাই নয়, বই, মাদারপুর, ফাগোশ এবং দেওলিয়াতেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের রিপোর্ট বলছে। কেল, সার্ডি, আথমুখম, জুরা, লিপা, পাছিবান, ঠান্ডাপানি, নায়ালি, লাঞ্জোত এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নিকাইলে ১১টি লঞ্চ প্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই অপেক্ষা করছে জঙ্গিরা।