৩৯০০০ কোটির ঋণে ডুবে ভিডিওকন!


নয়াদিল্লি: কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণে ডুবে আছে ভারতের জনপ্রিয় সংস্থা ভিডিওকন। আর তার জন্য সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর উপর দায় চাপাল সংস্থা। পাশাপাশি, ব্রাজিলের সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের উপর দায় চাপানো হয়েছে।

ভিডিওকন ইতিমধ্যেই দেউলিয়া হওয়ার মুখে। গত সপ্তাহে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল সংস্থাকে একটি নোটিশ দিয়েছে, যেখানে আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে নীলামের মাধ্যমে নতুন মালিক খুঁজতে হবে ভিডিওকনকে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কাছে ঋণ রয়েছে এই কোম্পানির।
 
সংস্থার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ক্যাথোড রে টিউব টেলিভিশন তৈরির প্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা। অন্যদিকে, এই সংস্থার তেল ও গ্যাসের ব্যবসা মার খেয়েছে ব্রাজিলে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার পর তাদের টেলিকমের ব্যবসা শুরুর পথও বন্ধ হয়ে যায়।

বিজয় মালিয়ার ঋণের টাকার পরিমানের পাঁচগুন বেশি টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে ভিডিওকনের উপর, এমন খবর আগেই সামনে এসেছিল।

ভিডিওকন কোম্পানি মূলত বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির একটি সংস্থা৷ সেই ভিডিওকন ব্রান্ডের উপর রয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা৷ এই ঋণের টাকা পরিশোধে ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে খবর৷ তাদের 'উইশ টাউন' প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ায় জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটসের সাবসিডিয়ারি জয়পি ইনফ্রাটেক ইতিমধ্যেই আইনি জটিলতায় রয়েছে এবং ১৩ ডিসেম্বর ঋণের টাকা পরিশোধের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস ২২ হাজার কোটি টাকার ঋণের ডিফল্টার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে৷

ভিডিওকন সহ মোট ২৮ থেকে ৩০ টি কোম্পানির অ্যাকাউন্টগুলিকে প্রদেয় ঋণের টাকা পুনর্গঠনের জন্য ৬মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ পুনর্বিনিয়োগে ব্যর্থ হলে কোম্পানিগুলিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে ব্যাংকে কাগজ জমা নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ যদি এই মামলাগুলি এনসিএলটি-তে চলে যায়, সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলিকে ঋণের টাকার ৫০ শতাংশ ব্যাংকিং খাতে 'হেয়ার কাট' অ্যামাউন্ট হিসেবে নিতে হবে৷ যদিও এই কোম্পানিগুলি এখন ভারসাম্যহীন অবস্থায় রয়েছে৷ তবে ১২ টি কোম্পানি ইতিমধ্যেই তাত্ক্ষণিকরূপে দোষী বলে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে৷ এবং কোম্পানিগুলির অধিকাংশই এখন নিলামের জন্য প্রস্তুত বলে খবর৷