বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটের উপর ভিত্তি করে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত এই পরোয়ানা জারি করেছে।

সম্প্রতি বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জশিট ফাইল করেছিল ইডি। বিশেষ আদালতে সেই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। স্টেট ব্যাংকের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে চার্জশিট ফাইল করে ইডি। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, আর্থিক তছরুপের জন্য ফোর্স ইন্ডিয়া ফর্মুলা ১ ও আরসিবিকে ব্যবহার করেছে মালিয়া। তারপরই বিশেষ আদালতের বিচারক এম এস আজমি বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে জামিনের অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বিজয় মালিয়ার ফার্ম কিংফিশার এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড বেরিয়ারস হোল্ডিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ জুলাই।

ইডি জানিয়েছিল, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও অন্য ১৭টি ব্যাংক থেকে ৬ হাজার ২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল মালিয়া। সেটি পরে বেড়ে ৯ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা হয়ে যায়। মালিয়া নিজের ব্যক্তিগত জামিনে এই টাকা তোলে। তবে তার সঙ্গে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড গ্যারান্টিও ছিল। এই এয়ারলাইন্সের পরিকাঠামোর জন্য লোন নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়। কিন্তু সেই টাকা অন্য কাজে লাগানো হয়েছিল। মালিয়া নিজের ব্যক্তিগত কাজে তা ব্যবহার করেছিল।

মালিয়া এই টাকা তছরুপ শুরু করে ছোট ছোট কোম্পানির নামে। সেই সব কোম্পানিতে ডামি ডিরেক্টরস বসায় মালিয়া। তাদের মালিয়াই নিয়ন্ত্রণ করত। ওই কোম্পানিগুলোর নামে সম্পত্তিও কিনেছিল মালিয়া। কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মরিশাসের কোম্পানি থেকে যে এয়ারক্র্যাফ্ট বেরত, তা লিজ নেওয়ার নামে বিদেশে টাকা চালান করত মালিয়া। চার্জশিটে বলা হয়েছে, কিংফিশার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে লিজে বিমান নিত। সবাইকে ভাড়া দিত সংস্থাটি। কিন্তু মরিশাসের ওই কোম্পানিকে বেশি ভাড়াও দেওয়া হত। চার্জশিটে এও বলা হয়, কালো টাকার (২৫৫ কোটি) কিছু অংশ ব্রিটেনে সরিয়ে দিয়েছিল মালিয়া। সেখান থেকে সেই টাকা তার ফর্মুলা ১ টিমের বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনের পিছনে খরচ হত।