ভারতকে পাশে পেতে সয়াবিন থেকে শুল্ক মকুব চিনের


আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যুদ্ধ তুঙ্গে। এই অবস্থায় ভারতকে পাশে পেতে চিন কৌশলী পদক্ষেপ নিল। সরকার পরিচালিত চায়না ডেইলি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ভারতকে পাশে পেতে চিনের বাণিজ্যমন্ত্রক সয়াবিন-সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক মকুব করেছে। অর্থাৎ চিনা সংস্থাগুলি সয়াবিন-সহ বেশ কিছু ভারতীয় পণ্য (ইস্পাত, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স, সুতো, কুটিরশিল্প জাত পণ্য) আমদানি করলে তাদের আমদানি শুল্ক দিতে হবে না। ভারত ছাড়াও এশিয়ার আরও চারটি দেশের বাছাই করা বেশ কিছু পণ্যের উপর থেকে আমদানি শুল্ক মকুব করল চিন। চিনের স্টেট কাউন্সিল জানিয়েছে, এশিয়া পেসিফিক বাণিজ্য চুক্তি অনুসারে ওই পণ্যগুলির উপর আমদানি শুল্ক মকুব করা হয়েছে।

চিনের সঙ্গে ৩৭,৫০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য বহু চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্তি শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পালটা বহু মার্কিন পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক চাপায় চিনও। ভারত-চিন কৌশলগত আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে বেজিং সফরে এসে চিনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তখনই চিনি, সয়াবিন-সহ বেশ কিছু ভারতীয় পণ্যের উপর থেকে আমদানি শুল্ক তুলে দেওয়ার জন্য জোর সওয়াল করেছিলেন তিনি। এখন চিন তা কার্যকর করল আমেরিকাকে চাপে রাখতে।

এদিকে আমেরিকার বহুজাতিক বাইক নির্মাতা সংস্থা হার্লে ডেভিডসন-এর সমালোচনা করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হার্লে ডেভিডসন জানিয়েছে, তারা রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে তাদের কারখানা তথা প্রোডাকশন ইউনিট খুলবে। ভারত, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়াতে তাদের উৎপাদন ইউনিট ও মেরামতের ওয়ার্কশপ আছে। এরপর নতুন করে কারখানা খুললে আমেরিকা থেকে কর্মী ছাঁটাই ও চাকরি সঙ্কোচন বাড়বে। তাই ট্রাম্প তাদের সিদ্ধান্তের নিন্দা করে বলেছেন, তিনি হার্লে ডেভিডসনের জন্য অনেক করেছেন। তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য বাণিজ্য নীতিও সংশোধন করা হয়েছে। এটা হার্লে ডেভিডসন ঠিক করল না। সংস্থাকে এ সিদ্ধান্ত আবার খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেন তিনি। অবশ্য হার্লে ডেভিডসন-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  ইউরোপের প্রোডাকশন ইউনিটগুলি ১৮ মাসের মধ্যে চালু করা হবে।