সাত বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করেছে বাবা, অভিযোগ কিশোরীর


পটনা: বয়স মাত্র ১৭ ৷ মাইগ্রেনের ব্যাথায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিল মণিকা(নাম পরিবর্তিত) ৷ সাফদারজাং হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার ৷ কিন্তু মাইগ্রেনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, চিকিৎসকেরাও তার মাইগ্রেনের ব্যাথা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়েন ৷ এরপরই মণিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ৷ সেই সময় জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে মণিকা ৷ জানায়, ১০ বছর বয়স থেকে প্রতি রাতে কীভাবে তার বাবার কাছে যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয় তাকে ৷ যা শুনে হতবাক হয়ে যান হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও ৷

বিহারের বাসিন্দা মণিকা ৷ তার বাবা পেশায় চাষী ৷ গত কয়েকমাস ধরে দিল্লির সেন্ট্রাল গর্ভমেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার ৷ মাইগ্রেন ছাড়াও আরও বেশ কিছু শারিরীক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি ৷ সেই সময়ই চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় ৷ সেই সময়ই চিকিৎসকেরা মণিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, চিকিৎসকদের জেরার মুখে ভেঙে পড়েন মণিকা ৷ মণিকা জানায়, তার বাবা প্রতি রাতে কীভাবে তার উপর নির্মম অত্যাচার চালায় ৷ সেই বিভীষিকাময়, নির্মম অত্যাচারের কথা জানায় মণিকা ৷ শুধু যৌন হেনস্থাই নয় ৷ সেই সঙ্গে নিজের মেয়ের অশ্লীল ছবিও ফোনে তুলে রাখতেন তিনি ৷

যৌন হেনস্থার কথা প্রকাশ্যে আসতেই মাইগ্রেনের আসল কারণটি বুঝতে পারেন চিকিৎসকেরা ৷ মণিকা জানায়, সে পঞ্চম শ্রেণী অবধি পড়াশুনা করেছে ৷ সেই সময় থেকেই বাড়িতেই থাকত সে ৷ আর এরপর থেকেই বাবার যৌন লালসার শিকার হয় সে ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পসকো আইনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতার বয়ান শুনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

সমীক্ষা অনুযায়ী, যে সমস্ত শিশুরা ছোট থেকেই যৌন হেনস্থার শিকার হন ৷ তারা এমনই মানসিক অবসাদে থাকে ৷ আর যার জেরে মাইগ্রেনের মত কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা ৷ আর এই সমস্ত ক্ষেত্রে তারা নিজেদের লোকের হাতে হেনস্থার শিকার হন ৷