ফেসবুকে দিদির আপত্তিকর ছবি পোস্টের অভিযোগ, রুখে দাঁড়ালেন ভাই


ফেসবুকেঅশ্লীল ছবি ছড়িয়ে সম্মানহানি করছে এক যুবক। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন ভাই। পুলিশের কাছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন। সম্প্রতি উত্তর কলকাতার কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী যুবকের পরিবার  কাশীপুরের বাসিন্দা। তাঁর দিদির সঙ্গে চিৎপুর এলাকার এক যুবকের বন্ধুত্ব হয়েছিল কয়েক বছর আগে। ধীরে ধীরে দু'জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও হয়। তারই জেরে ওই যুবতীর কয়েকটি অশ্লীল ছবিও তুলে রেখেছিল ওই যুবক। কয়েক মাস আগে দু'জনের মধ্যে গোলমাল বাধে। এর পর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সম্পর্ক ছেড়ে যুবতী বেরিয়ে আসার পরই তাঁর 'বন্ধু' কয়েকটি অশ্লীল ছবি ফেসবুকে আপলোড করতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী,  অন্য কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ওই ছবিগুলি ছড়িয়ে দেয় সে। সেগুলি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবতী। দিদির এই অসহায় অবস্থা দেখে পাশে এসে দাঁড়ান ভাই। ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে করা অভিযোগের ভিত্তিতে শ্লীলতাহানি ও সাইবার আইনে মামলা শুরু হয়েছে। যদিও অভিযোগের খবর পেয়েই পলাতক সেই যুবক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, প্রেমের সম্পর্কের অবনতি ও তারপরে এহেন প্রতারণার রাস্তা নেওয়া আজকালকার দিনে নতুন কিছু ঘটনা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে প্রেমিকপ্রবর প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিকতা নষ্ট করতে উঠে পড়ে লাগে। যদি কোনওরকম ব্যক্তিগত ছবি নাও থাকে তাহলে ফোটোশপের মাধ্যমে সুপার ইম্পোজ করেও প্রাক্তন প্রেমিকার সম্মানহানি করে। একটা সময়ের মধু সম্পর্ক তখন দু'তরফেই শত্রুতায় পরিণত হয়। গত সপ্তাহেই দিদির সঙ্গে হওয়া এহেন ঘটনার প্রতিবাদ করে অভিযুক্তের রোষানলে পড়ে যায় নাবালক। চলন্ত বাসেই তাকে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পুনের খের এলাকায়। বাসের যাত্রীরা চেঁচামেচি শুরু কলে চালক বাস থামিয়ে দেয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত।